মনে আছে ২০২২ সালের কথা? মালায়ালাম ছবির একটি গানের দৃশ্য, যদিও ভাষা অপরিচিত… কিন্তু ভাষার দুর্বোধ্যতাকে ছাপিয়ে গিয়েছিল জনপ্রিয়তা। কি ছিল সেই দৃশ্যে! কেবল একটা উইঙ্ক। চুল সরিয়ে চোখ মেরেছিলেন এক তরুণী আর সেই চোখের ইশারায় জাদু চালানোর পর থেকেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন জাতীয় ক্রাশ।
শুধু দক্ষিণী অভিনেত্রী প্রিয়া প্রকাশই নয়, চোখ মেরে কথার মধ্যে লুকোনো কথা বোঝাতে অনেকেই বেশ ওস্তাদ। তবে এই চোখ মারার ইতিহাসটিও কিন্তু বেশ মজার। অনেকের মতে, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নর্স পুরাণের একটি কাহিনি।
নর্স পুরাণ অনুযায়ী, ওডিনের গল্পের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে চোখ মারার গল্প। সেখানে বর্ণিত রয়েছে, ওডিন জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা অর্জনের তীব্র আকাঙ্ক্ষা ছিল। তবে এই দুটি জিনিস অর্জনের পথটা মোটেই সহজ ছিল না।
চোখের ইশারায় জাদু চালানোর পর থেকেই প্রিয়া হয়ে উঠেছিলেন জাতীয় ক্রাশ
নর্স পুরাণ জানাচ্ছে, এর জন্য বিশেষভাবে উৎসর্গ করতে হত নিজের দেহের অংশবিশেষ। সেই নিয়ম মানতে হয় ওডিনকেও। তাকে জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা অর্জন করতে নিজের একটি চোখ উৎসর্গ করে দিতে হয়। সেই থেকেই একটি চোখ তার নেই।
মনে করা হয়, নর্স পুরাণের ওডিনের থেকেই শুরু এক চোখ দেখানোর কায়দা। যা কালে কালে চোখ মারার কায়দায় এসে দাঁড়িয়েছে। কোনো কিছুর মধ্যে লুকোনো গভীর অর্থ বোঝাতে এই চোখ মারার ভঙ্গি কাজে লাগানো হয়।
তবে চোখ মারার এই ভঙ্গিরও নানা অর্থ হয়। সবসময় কথার ভেতরে লুকোনো গূঢ় কথা বোঝানো ছাড়াও অন্য ইঙ্গিত থাকে এতে। তবে সবসময় সব জায়গায় চোখ মারার কায়দা সবাই ভালোভাবে নেয় না। এতে সমস্যায় জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও থাকে কিন্তু।
