মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

স্টাফ রিপোর্টার

বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার ২৮ এপ্রিল রাজধানীর সিরডাপ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে বিকাল ৪ টায় এটি অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সচিব এ কে শামসুল হক, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহিদুল হক, পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আব্দুল মাবুদসহ জাতির সূর্যসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ও বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সদস্যগণ ।

সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশকে স্বাধীন করেছেন। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথেও বঙ্গবন্ধু ছিল গভীর সম্পর্ক। তাই দেশ স্বাধীন হলে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করে বঙ্গবন্ধু জাতীয় বেতন স্কেল সংস্কার করার আদেশ দেন।

প্রধান অতিথি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কথা চিন্তা করে সরকার অর্থনৈতিক, চিকিৎসা ভাতা সহ বিভিন্ন ভাতার ব্যবস্থা করেছে। এছাড়াও তিনি স্বাধীনতাযুদ্ধ,বঙ্গবন্ধু, বর্তমান সরকারের সাফল্য ও স্বাধীনতাযুদ্ধে বীর মুক্তিযুদ্ধাদের অবদানের কথা তুলে ধরেন।

তিনি আরো বলেন, সরকার নীতিমালা প্রণয়ন করলেও সেগুলোর বাস্তবায়ন করে থাকেন সরকারি কর্মকর্তারা। তাই আপনারা যদি আন্তরিকতার সাথে সরকারের নীতিসমূহ বাস্তবায়ন করেন বাংলাদেশ আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

পবিত্র কোরআন ও গীতা পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং স্বগত বক্তব্য দেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাহার আলী তালুকদার।

সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. আবু আল হোসেন, রেডিও বাংলাদেশ এর সাবেক মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীল, সাবেক সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিশিষ্ট সমাজ সেবক কাজী মফিজুল হকসহ সমিতির অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে প্রথমে রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে সম্মাননা এবং কতিপয় বীরমুক্তিযুদ্ধাকে ব্লেজার উপহার দেওয়া হয় । প্রতিটি সদস্যকে স্বাধীনতার স্মৃতিসৌধ সম্মিলিত কোট পিন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পুস্তিকা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সঞ্চালক এ আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।