‘এপ্রিল ফুল’ মুসলিম গণহত্যার মর্মান্তিক এক ইতিহাস

‘এপ্রিল ফুল’ মুসলিম গণহত্যার মর্মান্তিক এক ইতিহাস

ফিচার স্পেশাল

এপ্রিল ১, ২০২৩ ১০:১২ পূর্বাহ্ণ

আজ ০১ এপ্রিল। বিশ্বব্যাপী ইংরেজি বছরের এদিনটিতে আনন্দ ও মজা করার লক্ষ্যে ‘মানুষকে বোকা বানানোর দিন’ হিসেবে ‘এপ্রিল ফুল’ নামে পালন করা হয়। এদিন একে অন্যকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানিয়ে মজা করে। ইসলামের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে দিনটি। এদিনে স্পেনের রানি ইসাবেলা ধোঁকা দিয়ে বোকা বানিয়ে হাজার হাজার মুসলমানকে নির্মমভাবে হত্যা করে।

এপ্রিল ফুল পালন করা মুসলমানদের জন্য চরম কলঙ্ক ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই এ থেকে ঈমানদার মুসলমানদের বিরত থাকতে হবে এবং কোনো মুসলমানের সন্তান যেন এদিনে ধোঁকা না দেয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।

এপ্রিল ফুলের ধোঁকা থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন পৃথক পৃথক বিবৃতি দিয়েছে।

পৃথক পৃথক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, মুসলমানদেরকে এপ্রিল ফুল পালন থেকে বিরত থাকতে হবে। তারা বলেন, ১৪৯২ সালের ‘পহেলা এপ্রিলে’ রানি ইসাবেলা কর্তৃক মুসলমানদের চরম ধোঁকা দিয়ে বোকা বানিয়ে ঘোষণা দিয়ে বলে যদি বাঁচতে চাও কর্ডোভার জামে মসজিদে সমবেত হলে প্রাণভিক্ষা দেওয়া হবে। অতঃপর এই বলে সম্মিলিত হাজার হাজার আলেম-উলামা, সাধারণ মুসলমান, নারী-শিশু, বৃদ্ধ ও নিরীহ নাগরিকগণ মসজিদে অবস্থান নিলে তাদেরকে অগ্নিসংযোগ করে পৈশাচিকভাবে হত্যা করা হয়। একইভাবে প্রতারণার মাধ্যমে জাহাজে চড়িয়ে আগুন লাগিয়ে হত্যা করা হয়। খৃষ্ট জগতে বা মুসলিমবিদ্বেষী খৃষ্টান রাজ-রাণীর এ আনন্দঘন পৈশাচিকতার ঐতিহাসিক স্মারক দিবসই হচ্ছে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির ‘এপ্রিল ফুল’। তারা পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল মুসলমানদের নাম-নিশানা। পৃথিবী মুসলমান শূন্য করতে এহেন চক্রান্ত নেই যা তারা করেনি এবং করছে না। মুসলিম হত্যার নির্মম এই এপ্রিল ফুল মুসলমান পালন করতে পারে না। এদিনে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শোক পালন করা উচিত।

উলেখ্য, মুসলিম ইতিহাসের চরম এইদিনে মুসলমানের অনেক সন্তান ইহুদিদের চক্রান্তের শিকার হয়ে অনেক ক্ষেত্রে না বুঝে এপ্রিল ফুল পালন করে মানুষকে চরম ধোঁকা দিয়ে আসছে। এ থেকে তাদের বিরত রাখা অভিভাবক ও শিক্ষকগণের দায়িত্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *