দেশের ক্রিকেটের একজন কিংবদন্তি হিসেবেই অবসরে যাচ্ছেন তামিম ইকবাল। বিদায়ের মুহুর্তেও দলের ওয়ানডে ফরম্যাটের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। জাতীয় দলের জার্সিকে বিদায় বললেও ব্যাট হাতে অনন্য সব কীর্তির জন্য তামিমকে সবসময় মনে রাখবে দেশ-বিদেশের ক্রিকেটভক্তরা।
বাংলাদেশ তো বটেই, বিশ্ব ক্রিকেটেও বেশকিছু রেকর্ড গড়েছেন তামিম। ওয়ানডে ফরম্যাটে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ৫ হাজার রান এবং ৫০টি ফিল্ডিং ডিসমিসালের রেকর্ড আছে এই বাঁ-হাতি ওপেনারের।
সেই সঙ্গে একই মাঠে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডও তামিমেরই। মিরপুরের শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওডিআই ফরম্যাটে ২ হাজার ৮৫৩ রান করেছেন তিনি। যা ৫০ ওভারের ক্রিকেটে এক ভেন্যুতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ।
ওয়ানডে ফরম্যাটে আরো এক রেকর্ডেও আছে তামিমের নাম। ওপেনিং জুটিতে সবচেয়ে বড় পার্টনারশিপের ক্ষেত্রে তামিম আছেন তৃতীয় অবস্থানে। মাশরাফির বিদায়ী ম্যাচে লিটনের সঙ্গে ২৯২ রানের জুটি গড়েছিলেন তিনি। যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ পার্টনারশিপের ক্ষেত্রে এই জুটি আছে তালিকার ষষ্ঠ স্থানে।
ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট মিলিয়ে মিরপুরের হোম অফ ক্রিকেটে তামিমের রান ৪ হাজার ৪৮৫। এক মাঠে সর্বোচ্চ রানের বিচারে যা পুরো বিশ্বে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
এর বাইরে দেশীয় ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রান এবং তিন ফরম্যাটেই সেঞ্চুরির রেকর্ডেও নাম আছে তামিম ইকবালের। বাংলাদেশের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি হাঁকানো খেলোয়াড়ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো তামিম।
অন্তত ৫০০ রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটিং গড় তামিমের, ৩৫.৩৯।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি এসেছে তামিমের ব্যাট থেকে। ১ হাজার ৭৫৩টি চার মেরেছেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১ হাজার ৪২৯টি চার মেরেছেন সাকিব।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি করা একমাত্র ব্যাটারও তামিম। এই সংস্করণে ১০৩টি ছক্কা তার। টেস্টেও সবচেয়ে বেশি ৪১ ছক্কা মেরেছেন তিনি। তিন সংস্করণ মিলিয়ে দেশের রেকর্ড ১৮৮ ছক্কা তার। ১৬৫ ছক্কা মেরে দুইয়ে মাহমুদউল্লাহ।