সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩ ৭:৪১ অপরাহ্ণ
মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ-
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে ঘুরে দেখা গেছর মাছের পাশাপাশি হুহু করে বাড়ছে বিভিন্ন সবজি,আলু,ব্রয়লার মোরগী, ডিম,চিনি,পেয়াজ, রসুন,এল,পি,জি গ্যাস, সহ নৃত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মুল্যের দাম। সরকার মুল্য নির্ধারনের পরেও কমেনি আলু,পেয়াজ আর ডিমের দাম।যা এখন আকাশ ছোঁয়া ও সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।।
গরীব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন এতে করে পড়েছেন মহা বিপাকে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম বেড়ে হয়েছে গ্রায় দ্বিগুণ ।পণ্যের দামে সাধারণ মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে দীর্ঘ নাভীশ্বাস।
এক সপ্তাহ আগে পটল,জিঙ্গা, চিচিঙ্গা, ভরবটি, টমেটো, কাঁচামরিচ, ধনিয়া পাতা,লাউ,মিষ্টি কুমড়া,চাল কুমড়া,কচু,কঁচুর লতা,কচুর চড়া,কাঁচা পেপে,ঢেঁড়শ,কাঁচকলা,করল্লা, বেগুন, আলু সহ অন্যান্য সবজি যে দামে বিক্রি হতো বর্তমানে প্রতিটি পণ্যেরই কেজিতে দাম বেড়ে গেছে। সবজির সাথে তাল মিলয়ে বাড়ছে পেঁয়াজ,রসুন,আদার ঝাজ। পাশাপাশি চিনি ও মাছের দামওতো বাড়ছেই।
অপরদিকে কিছুদিন আগে রান্নার এল,পি,জি প্রতি সিলিন্ডার গ্যাস সরকারী ভাবে ৯৯৯ টাকা দরে বিক্রি করার সরকারীভাবে সিদ্ধান্ত হলেও বর্তমানে প্রতিটি সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে ১২৮০ থেকে ১৩২০ টাকা।আবার কোন কোন মালে ওজনে কম দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে।ডিজিটাল মাপে প্রতি কেজিতে ১শ থেকে দেড়শ গ্রাম কম পাওয়া যায়। তার কারণ পাল্লা বন্ধ করে পুনরায় চালু না করার কারনে ওজন বেড়ে যায়। যা অনেকেরই অজানা।
সরেজমিনে নাসিরনগর থানা সংলগ্ন সবজি বাজার,বুড়িশ্বর ,লক্ষীপুর সহ বিভিন্ন বাজার ঘুড়ে এ চিত্র দেখা গেছে। তবে বিক্রেতাদের দাবি দেশের পরিস্থিতির কারণে দাম বেশি দিয়ে আনতে হয়,তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। কিন্তু ক্রেতারা বলছেন,ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে।বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।
গতকাল নাসিরনগর বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রতি কেজি আলু ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা,ফুল কপি ১২০ টাকা,জিঙ্গা ৮০ টাকা,কচুর চড়া ৭০ টাকা,চিচিঙ্গা ৬০ টাকা,ঢেঁড়শ ৬০ টাকা,কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা,আমড়া ৪০ টাকা,পেয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে।
অপরদিকে দেশীয় হাঁসের ডিম প্রতিহালি ৭০ টাকা,দেশীয় মোরগীর ডিম ৮০ টাকা,লেয়ার বা লালডিম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা হালি ধরে বিক্রি হচ্ছে।কয়দিন আগেও যে ব্রয়লার মোরগী ১২০/১৩০ টাকা বিক্রি হতো তা এখন প্রতিকেজি ১৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।