নাসিরনগরে একদিকে ভেপসা গরম,অন্যদিকে অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন

দেশজুড়ে

জুন ১, ২০২৩ ১১:৩১ অপরাহ্ণ

মোঃ আব্দুল হান্নান

চলছে মধু মাস জ্যৈষ্ঠ। যদিও ভরপুর বৃষ্টির মৌসুম এখন। কিন্তু আকাশে দেখা নেই বৃষ্টির । বৃষ্টির বদলে চলছে প্রচন্ড খরতাপ। প্রচন্ড খরতাপের সাথে পাল্লা দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরেও চলছে তীব্র বিদ্যুৎ বিভ্রাট বা (লোডশেডিং)। গত এক মাসের অধিক সময় ধরে এ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। দিনে যখন তখন আর সন্ধ্যা থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ থাকছে না মধ্য রাত পর্যন্ত। কোনো কোনো এলাকায় থেমে থেমে বিদ্যুৎ আসলেও তা স্থায়ী হচ্ছে না। ফলে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। বিদ্যুৎ না থাকার কারনে লেখাপড়া নষ্ট হচ্ছে শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থীদের। বয়স্ক ও শিশুরা রয়েছে মহা বিপাকে। অনেকেই আবার হয়ে পড়েছে অসুস্থ। কোন কোন জায়গায় হিটষ্টোকের মত ঘটনার ও খবর পাওয়া গেছে।

সরেজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুড়ে ও বিভিন্ন লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে অনেক দিন ধরেই উপজেলার চাতলপাড়, ভলাকুট কুন্ডা, গোয়ালনগর, বুড়িশ্বর,হরিপুর,ফান্দাউক,ধরমন্ডল, চাপড়তলা,গুনিয়াউক,গোকর্ণ,পূর্বভাগ ও নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন সহ তেরটি ইউনিয়নের প্রায় সব কয়টি এলাকাতেই সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ থাকছে না। বেলা ডোবার পর পরই বিদ্যুৎ চলে যায়। মাঝেমধ্যে চলে বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলা। রাত ৮টার পর আবার বিদ্যুৎ চলে যায়। টানা দেড় থেকে দু ঘন্টা বিরতির পর আবারো বিদ্যুৎ আসে রাত ১০টার পর। আবার হুট করে চলে গিয়ে ভোর রাতে আসে ফিরে।

সপ্তাহের প্রায় প্রতি শুক্রবারই ৩৩ কেভি লাইন রক্ষণাবেক্ষণ কাজের অজুহাতে মাইকে আবার কখনো ফেসবুকে ষ্ট্যাটাস দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে সারা দিনের জন্য বিদ্যুৎ নিয়ে যায়।প্রচন্ড খরতাপ আর ভেপসা গরমে বিদ্যুতের এ লুকোচুরিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে স্বাভাবিক জনজীবন।

উপজেলার সব জায়গা লোডশেডিং একই সময়ে হচ্ছে না। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সময় দেখা যাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। তবে সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সব এলাকায় থাকছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। পল্লিবিদ্যুৎ অফিসের তথ্যমতে নাসিরনগরে অঞ্চলভেদে লোডশেডিং থাকছে ৪-৬ ঘন্টা। তবে কোন কোন অঞ্চলের গ্রাহকের দাবী তারা বিদ্যুৎ পায়না ২০ ঘন্টা। গ্রাহকদের দাবী নাসিরনগরে এখন বিদ্যুৎ যায়না মাঝে মাঝে আসে। প্রায়ই মাগরিব ও এশার নামাজের সময় বিদ্যুৎ না থাকায় নামাজ আদায়ে কষ্ট হচ্ছে মুসল্লিদের।

এত লোডশেডিংয়ের কারন সম্পর্কে মুঠোফোনে নাসিরনগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন নাসিরনগরের জন্য যে পরিমাণ বিদ্যুৎ থাকা প্রয়োজন আছে মাত্র এর তিনভাগের একভাগ। তাছাড়াও হঠাৎ বিদ্যুতের উৎপাদন কমে যাওয়ায় লোডশেডিং শুরু হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *