অক্টোবর ১৮, ২০২২ ১০:০৬ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের জান ও মালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সর্বদা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। দেশের সংকটকালীন মূহুর্তে জনগণের পাশে দাঁড়াতে বাংলাদেশ পুলিশ কখনো পিছপা হয়না। সেই লক্ষ্যে সিরাজগঞ্জ জেলার পুলিশ হত্যাকান্ডসহ চাঞ্চল্যকর যেকোন ঘটনায় দ্রুত সাড়া দিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচার নিশ্চিতে সিরাজগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আরিফুর রহমান মন্ডল, বিপিএম(বার), পিপিএম(বার) মহোদয় আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
গত ১৭/১০/২০২২ খ্রিঃ জনাব মোঃ সামিউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম এন্ড অপস্), সিরাজগঞ্জ এর নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকস টিম সিরাজগঞ্জ সদর ও বেলকুচি থানা এলাকায় মাদক বিরোধী ও চোরাচালানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করাকালে দুপুর ১৪.৪৫ ঘটিকার সময় সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানাধীন চর সমেশপুর গ্রামস্থ জনৈক মুক্তার এর জমিতে অবস্থিত মোঃ আল আমিনের FD Food River এর সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ডিবি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ৬/৭ জন দৌড়িয়ে পালানোর চেষ্টাকালে অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় ১। মোঃ মন্তাজ আলী প্রাং(২৮), পিতা-মৃত সোবহান প্রাং, সাং-জিধুরী উত্তরপাড়া ২। মোঃ আলী হাসান (২৭), পিতা-মোঃ গোলজার হোসেন, সাং-মাইঝাইল রান্ধুনীবাড়ী ৩। মোঃ লিখন (২২), পিতা-মোঃ হাবিবুর রহমান, সাং-চর নবিপুর কান্দাপাড়া, সর্বথানা-বেলকুচি, জেলা-সিরাজগঞ্জ আটক করেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, তারা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ০৩(তিন) লক্ষ টাকার বিনিময়ে পূর্ব-পরিকল্পানা অনুযায়ী এক জনকে হত্যা করবে এবং একটি বিকাশের দোকানে ডাকাতি করার জন্য একত্রিত হয়েছিল। তাদের নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদে একপর্যায়ে কুখ্যাত ডাকাত মোঃ মুন্তাজ আলী প্রাং স্বীকার করে যে, তার আপন ভাই মোঃ মোতাহার হোসেন এর বসত বাড়ীর ছাপরা রান্না ঘরের চালার উপর পলিথিনের মধ্যে একটি বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র (বিদেশী পিস্তল), দুই রাউন্ড গুলিসহ একটি ম্যাগজিন এবং আবু হাসান এর কর্মস্থল বেলকুচি থানাধীন তামাই মধ্যপাড়া গ্রামস্থ হাজী মোঃ ইমরান হোসেন (৫২), পিতা- মৃত ময়দান খান এর লুঙ্গির মিলের টিনের দোতালা ঘরের সিড়ির সামনে ঝুট কাপুড়ের মধ্যে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ওয়ান শুটারগান ও এক রাউন্ড গুলি আছে। তাদের কথামতো বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ০২ টি আগ্নেয়াস্ত্র, ০৩ রাউন্ড গুলি ও ০১টি ম্যাগজিন উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
তাদেরকে হেফাজতে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে, এসব আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে তারা নিয়মিত মহাসড়কসহ সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি কার্যক্রম চালায়। ঘটনার দিনে তারা চর সমেশপুরে ০৬ জনের একটি দল একত্রিত হয়ে রান্ধুনি বাড়ি বাজারের একটি বিকাশের দোকান ডাকাতির পাশাপাশি রাজাপুর ইউনিয়নের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার পরিকল্পনা করে।
ডাকাত সর্দার মন্তাজকে গ্রেফতারের কারণে দেশব্যাপী চলমান একটি উল্লেখযোগ্য নির্বাচনের দিনে নিশ্চিত পরিকল্পিত মৃত্যুর হাত থেকে একটি তাজা প্রাণ রক্ষার পাশাপাশি নির্বাচনের দিনে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হলে দেশব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হতো। এই ঘটনাটি এই অভিযানের মাধ্যমে মন্তাজ ডাকাতকে গ্রেফতারে ডাকাতি যেমন নিয়ন্ত্রিত হবে তার চেয়ে নির্বাচনের দিনে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি হত্যার শিকার হলে কুচক্রী মহল ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা করত।
মিডিয়া ব্রিফে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার, ওসি ডিবি, ডিআইও-১, ওসি বেলকুচি থানাসহ ডিবির চৌকস টিমের সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
