ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩ ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ
বাড়ির বড়রা বলে থাকেন, গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস এই খবরটি বাইরের কাউকে না জানানো ভালো। যদিও, এর কোনো বৈজ্ঞানিক কারণ নেই। মনোবিদরা অবশ্য বলছেন, নিজের খুশির খবর অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিলে হবু মায়ের মন আরো ভালো থাকে। যা গর্ভস্থ শিশুর সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
আয়রন ট্যাবলেট খেলে শিশু ফর্সা হবে না: এই কথাটির কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। গর্ভাবস্থায় নারীদের রক্তের অভাব হলে মা ও শিশু উভয়েরই ঝুঁকি থাকে। এই সময় চিকিৎসকরাই আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দেন। এর সঙ্গে শিশুর গায়ের রঙের কোনো সম্পর্ক নেই।
গর্ভাবস্থায় বিশ্রাম নেয়া জরুরি: এটাও একটা মিথ। যদি গর্ভাবস্থায় কোনো জটিলতা দেখা দেয় এবং ডাক্তার বেড-রেস্ট নিতে বলেন তাহলে ঠিক আছে। অন্যথায় একজন গর্ভবতী নারীর স্বাভাবিক রুটিন অনুসরণ করা উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সক্রিয় হতে হবে। যাতে প্রসবের সময় সহজ হয়ে যায়। নারীদের অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধিও রোধ করে।
একজন গর্ভবতী মহিলার দুজনের খাবার খাওয়া দরকার: সুষম ও পুষ্টিকর খাবার প্রেগন্যন্সি পিরিয়ডে গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু দু’জন মানুষের সমান খাবার খাওয়া এর কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। অতিরিক্ত খেলে বেশি ক্যালরি শরীরে ঢুকবে। ভাবী মায়ের ওজন বাড়বে। এতে ভাবী মায়ের ওজনও বাড়বে, যা মা ও শিশু উভয়ের জন্যই বিপজ্জনক হতে পারে।
সূত্র: এই সময়