ডিসিপ্লিনের নামে শিশুদের সঙ্গে অন্যায় করছেন না তো?

ডিসিপ্লিনের নামে শিশুদের সঙ্গে অন্যায় করছেন না তো?

লাইফস্টাইল

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩ ১১:২০ পূর্বাহ্ণ

শহুরে জীবন যাপনে ছোট পরিসরে থাকতে থাকতে ছোটরা এমনিতেই হাঁপিয়ে ওঠে। ছোট থেকে সবাই বাড়িতে এতটাই আদর আর অ্যাটেনশন পেতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে যে নিয়মশৃঙ্খলার মধ্যে থাকতে চায় না।

বাবা-মায়েরা তাদের সন্তান লালন-পালনে ভিন্ন উপায় অবলম্বন করেন। কিছু বাবা-মা খুব উদার এবং বোধগম্য হয় না আবার কেউ কেউ শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং নিয়ন্ত্রণকরতে পছন্দ করেন। এই দুটি জিনিস বাচ্চাদের ভালো আচরণ এবং বাধ্য করে তলতে সাহায্য করে।

তবে সন্তান মানুষ করতে গিয়ে কখনো কখনো অভিভাবকরা রেগে যান। রেগে গিয়ে এমন আচরন করে ফেলেন যা শিশুদের উপর মানসিক এবং শারীরিক প্রভাব পড়ে। তাই রেগে গেলেও এই কাজগুলি কখনই সন্তানের সঙ্গে করবেন না। বাচ্চাদের বুদ্ধি অত্যন্ত তীক্ষ্ণ আপনাকে ধৈর্য আর বুদ্ধি, দুটোই কাজে লাগাতে হবে।

ডিসিপ্লিনের নামে ধমকানো: অভিভাবকদের উচিত শিশুদের সঙ্গে ভালোবেসে সব কিছু শেখানো উচিত। এর জন্য কোনও মারধর করা উচিত নয়। আপনি যদি এরকম কিছু করে থাকেন তবে এখনই থামুন। শাস্তি, চাপ এবং নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে শিশুটি আজ আপনার সামনে কাজটি হয়তো করে নেবে কিন্তু পরে এটি শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলবে। তার আত্মবিশ্বাস নড়ে যেতে পারে এবং এটি তার আচরণকেও প্রভাবিত করতে পারে।

উচ্চ প্রত্যাশা কখনোই নয়: সন্তানের কাছ থেকে বাবা-মায়ের অনেক প্রত্যাশা থাকে, কিন্তু আপনি যখন এই প্রত্যাশার সীমা অতিক্রম করেন, তখন আপনার সন্তানকে এর খেসারত দিতে হয়। আপনার শিশুর সামনে এমন লক্ষ্য বা প্রত্যাশা রাখা উচিত নয়, যা তার বয়স বা প্রতিভা অনুযায়ী উপযুক্ত নয়। এতে শিশুর আত্মবিশ্বাস ভেঙে যেতে পারে এবং তার ব্যক্তিত্বেও প্রভাব পড়তে পারে।

সব জিনিস হালকা করে নেবেন না: সন্তানরা যখন তাদের বাবা-মার কথা শোনে, তখন সব বিষয় খুব সহজে মেনে নেবেন না। এটি কেবল শিশুকেই খুশি করে তা কিন্তু নয় নিজের সৃজনশীল বৃদ্ধিকেও বাধা দেয়। বাচ্চার সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।

একতরফা কথা বলবেন না: কঠোর বাবা-মা খুব কমই কথা বলেন। আপনি কোনো বিষয়ে সন্তানের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতে না-ই পারেন কিন্তু তার মানে এটা নয় যে আপনি তার অনুভূতির কথা একবারও শুনবেন না। যোগাযোগ সবসময় উভয় পক্ষ থেকে হতে হবে, আপনার সন্তানের কথাও শুনতে হবে এবং প্রয়োজনে তাকে গাইড করতে হবে। নিজেকে প্রকাশ করার অনুমতি না দিলে, শিশু বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে।

অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করুন: বাবা-মা যদি সবসময় কঠোর থাকেন তাহলে সন্তানের মনেও বিশেষ প্রভাব পড়ে। অনেক বাবা-মা সন্তানের কাছ থেকে দাবি করেন। যেমন ক্লাসে সবসময় প্রথম হওয়া বা ভবিষ্যেত সে যেন ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হয়-এমন সব দাবি করলে কিন্তু খুবই মুশকিল। এতে বঅভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের অনুভূতি বুঝতে ব্যর্থ হন। আপনার সমস্ত মনোযোগ শুধুমাত্র আপনার চাহিদা উপর ফোকাস হয়। কিন্তু সন্তানের মানসিক চাহিদা এবং চাওয়াকে চিনতে অক্ষম হয়ে যান বাবা-মায়েরা। এতে শিশুর উপর খারাপ প্রভাব পড়ে।

সূত্র: এই সময়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *