আদর্শ শিক্ষার্থী গড়ার অনন্য প্রতিষ্ঠান মাওলানা আছাদ আলী মাদ্রাসা

দেশজুড়ে

জুন ২০, ২০২৩ ৩:২৭ অপরাহ্ণ

মোঃ আব্দুল হান্নানঃ-

হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ইকরতলি গ্রামের প্রত্যান্ত পাহাড়ি অঞ্চলে পৈতৃক ৬০ শতাংশ সম্পত্তির উপর সাংবাদিক মীর জুবায়ের আলম গড়ে তোলেছেন একটি দ্বীনি শিক্ষালয়। নামকরণ করেছেন হবিগঞ্জ ৪ আসনের এমপি এডঃ মাহবুব আলী পিতা মাওলানা আছাদ আলীর নামানুসারে। তিনি হবিগঞ্জ ৪ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন- মাদ্রাসাটি নাম করণ করেছেন গাউছিয়া জালালিয়া করিমিয়া মকছুদিয়া মাওলানা আছাদ আলী সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা।

২০১৯ সালের প্রথমার্ধে নিজের ব্যক্তিগত অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা পরিচালিত, উদ্বোধন করেন বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এড. মাহবুব আলীর হাতে। পৈতৃক সম্পত্তির ৬০ শতক জমি উক্ত মাদ্রাসার নামে ওয়াকফ করে দেন তিনি।

প্রতিষ্ঠানটি ১৩ জন ছাত্র ও ৫ জন শিক্ষক নিয়ে একাডেমিক যাত্রা শুরু করলেও এখন ছাত্র সংখ্যা শতাধিক আর শিক্ষক আছেন ৮ জন। প্রারম্ভিক খরচও সাংবাদিক মীর জুবায়ের আলম একাই নির্বাহন করে আসছেন। প্রতিষ্ঠান নির্মাণ ব্যয়ও তিনি একাই বহন করেছেন।

প্রাত্যহিক সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ২ টা পর্যন্ত সপ্তাহে ৫ দিন চলে পাঠদান। কেবল শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হিসাবে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ থাকে। মহিলা শিক্ষিকারা মাতৃত্বের মমতায় শিশুপাঠগুলো নিয়ে থাকেন। প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে আছেন গ্রাজুয়েশন করা সাংবাদিক মীর জুবাইর আলম।

এছাড়াও একজন শিক্ষিকা প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই শিশুদের পরিবারে ফোন করে বাচ্চাদের হোমওয়ার্কের খোঁজ খবর নেন। কেউ ক্লাশে অনুপস্থিত থাকলেই তার পরিবারকে বাচ্চার অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাওয়া হয়। এমন সব ছোটছোট দায়িত্ব পালনের মধ্যদিয়ে হাটি হাটি পা পা করে এগিয়ে চলছে ইকরতলী গাউছিয়া জালালিয়া করিমিয়া মকছুদিয়া আছাদ আলী সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি।

ইকরতলী গ্রামের স্থানীয় লোকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আগে অনেক শিশুরাই শিক্ষাবিমুখ ছিলো, যদিও কেও কেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করতো তাথাপি তারা যখন তখন স্কুল খামাই করতু খুব বেশি। এখন জুবায়েরের মাদ্রাসা হওয়ার পর থেকে কারও আর ক্লাশ খামাই করার সুযোগ নাই, ক্লাশে না দেখলেই শিক্ষকেরা বাড়িতে মোবাইলে কল করে বসেন, সন্ধ্যায় হোমওয়ার্কের খোঁজ নেন, এসব আমাদের আশান্বিত করছে, বাচ্চাদের পড়াশুনায় আমাদেরকেও দায়িত্ব সচেতন করে তুলছে।

তবে মাদ্রাসাটির দাতা, প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মীর জুবায়ের আলম সামাজিক দায়বদ্ধতার এই প্রতিষ্ঠান সবার সহযোগীতা পেলে ভবিষ্যতে আরও অনেকদূর এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *