স্ত্রীর অর্থ হাতিয়ে বিয়ের পর রেজিস্ট্রিতে অস্বীকার, খুন জখমসহ হুমকি

স্ত্রীর অর্থ হাতিয়ে বিয়ের পর রেজিস্ট্রিতে অস্বীকার, খুন জখমসহ হুমকি

দেশজুড়ে

জুন ২০, ২০২৩ ৪:৫১ অপরাহ্ণ

হাবিবুর রহমান সোহাগ, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা পাটকেলঘাটা থানার নওয়াকাটি গ্রামের হাজী মুজিবুর খানের পুত্র মাসুদ খানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী ইয়াসমিন আরা রিংকি। অভিযোগকারী ইয়াসমিন আরা রিংকি সদরের আগরদাড়ী ইউনিয়নের মৃত শহীদ গাজীর কন্যা।

মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুরে সাতক্ষীরা সাংবাদিক কেন্দ্রে স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে ওই নারী এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

স্বামী মাসুদ খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে রিংকি বলেন, আমার পিতা মাতা দুইজনের মারা যাওয়ায় খালা-খালুর বাড়িতেই আশ্রয় হয় আমার। তারা আমাকে বড় করার পর বিবাহও দিয়েছিল। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে একটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহনের পর সেই সংসার টেকেনি। একমাত্র কন্যা সন্তানকে নিয়ে খালাখালুর বাড়িতে জীবন যাপন করে আসছিলাম। এরই মধ্যে পরিচয় ঘটে তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানাঘাটার নওয়াকাটি গ্রামের হাজী মুজিবুর খানের পুত্র মাসুদ খানের সাথে। মাসুদ খানের পূর্বের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। কিন্তু তার পিতা মাতা প্রথম স্ত্রীকে মেনে নিতে রাজি না হওয়ায় মাসুদ খান আমাকে বিবাহের প্রস্তাব দেয় আমি প্রথমে রাজি না হলেও পরে তারা পিতা মাতা আমাকে আশ্বস্ত করে। আমি তাদের আশ্বাস পেয়ে মাসুদ খানের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করি। মাসুদ খান ঢাকার সিংগাঈর এলাকায় একটি ইট ভাটায় কাজ করত। আমিও ঢাকার একটি সিকিউরিটি কোম্পানিতে চাকুরি করতাম। সেই সুবাদে আমাকে সেখানে ঢাকার সিংগাঈর এলাকায় নিয়ে স্থানীয় মসজিদে ইমামের মাধ্যমে আমাকে বিবাহ করে। সে সময় বিবাহটি পরে রেজিষ্ট্রি করবে বলে জানায়। কিন্তু ৬ মাস অতিবাহিত হলেও রেজিষ্ট্রি না করে তাল বাহানা করতে থাকে। একপর্যায়ে আমার গচ্ছিত এবং বেতনের টাকাসহ প্রায় ২লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আমাকে তাড়িয়ে দেয় এবং আমাদের বিবাহ অস্বীকার করে। আমার তীলে তীলে জমানো সম্পদ হাতিয়ে নিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ায় আমি দিশেহারা হয়ে পড়ি। পরে সাতক্ষীরায় ফিরে মাসুদ খানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ভাই মারুফ খান, মামা আলিমসহ কতিপয় গুন্ডাপান্ডা আমাকে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। এমনকি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

তিনি বলেন, আমি একজন এতিম এবং অসহায় নারী। স্বামী পরিত্যাক্ত হয়ে একমাত্র কন্যাকে নিয়ে বেঁচে থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু নারী লোভী মাসুদ খান আমাকে সুকৌশলে তার প্রতি আসক্ত করিয়ে আমার অর্থ হাতিয়ে আবার তাড়িয়ে দিয়েছে। এমনকি বিবাহটি অস্বীকার করে আমাকে অপরাধী বানারো পায়তারা চালাচ্ছে। আমি সরল বিশ্বাসে তার কথায় আশ্বস্ত হয়ে সব কিছু হারিয়ে এখন দিশেহারা। এরপর আবার আমাকেসহ শিশু সন্তানকে জীবন নাশের হুমকি ধামকি তো রয়েছেই। তারা প্রকাশ্যে বলছে এটি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে ফল ভালো হবে না। কোন বিচার তো পাবেই না উল্টো বিভিন্ন ট্যাগ লাগিয়ে সামাজের কাছে হেয়প্রতিপন্ন করে ছাড়বো।

এবিষয়ে মাসুদ খান, মারুফ খান এবং আলিম গংযের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী ওই অসহায় নারী।

অভিযোগের বিষয়ে মাসুদ খান, মারুফ খান এবং আলিম গংযের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা ফোন রিসিভি করেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *