‘ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছি, ব্যর্থতাকে সাফল্যের মতো প্রাধান্য দিয়েছি’

বিনোদন

মে ২৯, ২০২২ ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ

ক্যারিয়ারের ২৩ বছর পূর্ণ করলেন ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান। প্রায় দুই যুগের চলচ্চিত্র অভিযাত্রায় তিনি হয়ে উঠেছেন ঢালিউডের অঘোষিত কিং। তাই সাফল্য ও ব্যবসার মানদণ্ডে বাংলা চলচ্চিত্রের একচ্ছত্র অধিপতি বলা হয় সুদর্শন এ তারকাকে।

বাংলা সিনেমার প্রযোজক পরিচালকরা মনে করেন, শাকিব মানেই হিট! এই মন্দার বাজারে শুধু শাকিব নামেই কোটি কোটি টাকা লগ্নি হচ্ছে, আবার সেই টাকা লভ্যাংশসহ ফেরতও আসছে। সর্বশেষ ঈদে ‘গলুই’ সিনেমা দিয়ে শাকিব তার ক্যারিশমা আরো একবার প্রমাণ করেছেন।

১৯৯৯ সালের ২৮ মে মুক্তি পেয়েছিল শাকিব খান অভিনীত ও সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘অনন্ত ভালোবাসা’। এই ছবির মাধ্যমে রূপালি পর্দায় নামের আগে ‘চিত্রনায়ক’ তকমা লেগেছিল শাকিব খানের।

তবে এ নায়কের ক্যারিয়ারের শুরুর দিকটা মসৃণ ছিল না। চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে নানা ঘাত প্রতিঘাত মোকাবেলা করে আজকের এই শীর্ষ অবস্থান অর্জন করেন এই নায়ক। সে কথাই যেন ২৩ বছর পূর্তিতে আরো একবার বললেন শাকিব।

শনিবার দুপুরে শাকিব তার অফিশিয়াল ফেসবুকে বলেন, শুরুতে জানতাম না আমার ক্যারিয়ার কোন দিকে যাচ্ছে। প্রথমদিকে আমার অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোও খুব বেশি সাফল্য পায়নি, তারপরও হাল ছাড়িনি। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছি, ব্যর্থতাকে সাফল্যের মতো প্রাধান্য দিয়েছি।

এদিন শাকিব বলেন, আমি সবসময় কঠোর পরিশ্রম, কাজের প্রতি আন্তরিকতা ও সততায় বিশ্বাসী। হয়তো এ কারণেই আজ এই অবস্থানে পৌঁছেছি। আমি আনন্দিত এই ভেবে যে, আমার কাজের মাধ্যমে মানুষকে বিনোদিত করতে পেরেছি এবং তাদের খুশি করতে পেরেছি।’

এমন দিনে কৃতজ্ঞতা জানাতেও ভুলেন নি এই চিত্রতারকা। সবার উদ্দেশ্যে বললেন, অভিনয় জীবনে আজ পর্যন্ত যেসব পরিচালক, প্রযোজক, সহশিল্পী এবং ক্যামেরার পেছনে থাকা কলাকুশলীর সঙ্গে কাজ করেছি সবাইকে ধন্যবাদ। আমার ২৩ বছরের ক্যারিয়ারে তাদের অবদান অসামান্য! বিশেষভাবে আমি আমার দর্শকদের কাছে কৃতজ্ঞ; যারা আমার সকল শক্তি ও অনুপ্রেরণার উৎস, তারা আমাকে এতোগুলো বছর ভালবাসা এবং সম্মান দিয়ে যাচ্ছে। আমার পরিবারের কাছেও কৃতজ্ঞ, তাদের চিরস্থায়ী সমর্থনের জন্য। সবার জন্য হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা।

১৯৯৯ সালে চলচ্চিত্রে পা রাখলেও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ২০০৫ সালে ‘আমার স্বপ্ন তুমি’ সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবার নজর কাড়েন শাকিব। এরপর ‘কোটি টাকা টাকার কাবিন’ থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাকে হয়নি তাকে। চিত্রনায়ক মান্না বেঁচে থাকাকালীন ২০০৬ সালে শাকিব হয়ে ওঠেন ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম ভরসা! চলচ্চিত্রের বিজ্ঞ জনদের মতে, ২০০৭ থেকে শাকিব দেদারসে এগিয়ে গেছেন।

তখন থেকেই শাকিব খানকে ঘিরে লগ্নী হতে থাকে কোটি কোটি টাকা। এমন বছর গেছে শাকিবের ২০টির মতো চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে। ইন্ডাস্ট্রির খারাপ সময়ে তিনি হিরো দ্য সুপারস্টার, পাসওয়ার্ড, বীরের মতো বড় বাজেটে সিনেমা লগ্নী করে চাঙ্গা করেছেন চলচ্চিত্রাঙ্গন। কাজের সুবাদে পেয়েছেন চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার।

২৩ বছর আগে চলচ্চিত্রে পা রাখা সেই শাকিব খান এখনও বাংলা চলচ্চিত্রে আশার বাতিঘর। ক্যারিয়ারের প্রায় দেড় যুগ ধরে তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী। ২০১৬ সালের পর শিকারি, নবাব, ভাইজান এলো রে, চালবাজ, নাকাব এই চলচ্চিত্রগুলো দিয়ে শাকিব খান ক্যারিশমা দেখছিলেন ওপার বাংলাতেও। সেখনাকার দর্শকরা ও প্রযোজক, পরিচালক ও শিল্পীদের কাছে শাকিব হয়ে ওঠেন প্রিয়ভাজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *