শাহিন খন্দকার, মাগুরা
মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালী গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডের মৃত বসার মোল্লার স্ত্রী সারজিনা বেগমকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবারের পক্ষ থেকে।
ভুক্তভোগী সারজিনা বেগমের কাছ থেকে জানা যায়, দোকানের বাকি টাকা চাইতে গেলে তার মেজ ভাসুরের ছেলে রানা মোল্লা ও রানা মোল্লার মা তাকে বেধড়ক মারপিট করেন। এ সময় রানা মোল্লার পিতা মোশাররফ মোল্লা দাঁড়িয়ে থেকে ছেলে ও বউকে উস্কানি দিয়ে তাকে মেরে আহত করেন। নির্যাতিত সারজিনা বেগম একজন বিধবা নারী তার স্বামী গত ৯ মাস আগে মৃত্যুবরণ করেন। তার কোন ছেলে সন্তান না থাকায় বাড়ির সামনে ছোটখাটো একটি মুদি দোকান থেকে কোন মতে সংসার চলে। এই মুদির দোকান থেকে রানা মোল্লা প্রতিনিয়ত জোর জবরদস্তি করে সিগারেট, চানাচুর, বিস্কুট সহ অন্যান্য সামগ্রী বাকিতে নিয়ে থাকেন। মাঝেমধ্যে তার চাচি সারজিনা বেগম টাকা চাইতে গেলে হুমকি-ধামকি দিয়ে থাকেন, এবং বলেন যে তোকে এখানে দোকানদারি করতে দেয়া হবে না, যদি আমাকে বাকি না দিস এবং তোর পরিণতি বেশি ভালো হবে না। এই বিষয়কে কেন্দ্র করেই গত শুক্রবারের দিন তার চাচি তার কাছে বাকী টাকা চাইতে গেলে একপর্যায়ে রানা মোল্লা ও তার মা তাকে বেদম মারপিট করেন এবং এক পর্যায়ে সারজিনা বেগম অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। তার দুই মেয়ে শশুরবাড়ি থাকায় স্থানীয় লোকজন তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে ভিকটিম সারজিনা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, আমার পরিবারে কোন পুরুষ লোক না থাকাই এবং আমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় মামলা করতে দেরি হচ্ছে। একটু সুস্থ হলেই আমি মামলা করবো।
এ বিষয়ে রানা মোল্লার পিতা মোশারফ মোল্লার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা ফোনটা রিসিভ করেননি।