পালক ছেলের সাথে নারী রাজনীতিবিদের অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে থাইল্যান্ডে ব্যাপক বিতর্ক

পালক ছেলের সাথে নারী রাজনীতিবিদের অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে থাইল্যান্ডে ব্যাপক বিতর্ক

আন্তর্জাতিক

মে ৩, ২০২৪ ৭:৩০ পূর্বাহ্ণ

থাইল্যান্ডে দত্তক নেয়া ছেলের সাথে এক নারী রাজনীতিবিদের গোপন অবৈধ সম্পর্কের বিষয় ফাঁস হওয়ার পর দেশটিতে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৪ বছর বয়সী দত্তক ছেলে ফ্রা মাহার সাথে ৪৫ বছর বয়সী নারী রাজনীতিবিদ প্রাপাপর্ন চোইওয়াদকোহকে বিছানায় ঘনিষ্ট অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলেছেন তার স্বামী। তিনি ৫ ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে বাড়িতে ফিরে মাহার সাথে তার স্ত্রীকে ঘনিষ্ট অবস্থান দেখতে পান।

ফ্রা মাহা একজন সন্ন্যাসী। সন্ন্যাসীর সাথে চোয়েওয়াদকোহর সম্পর্কের বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করে আসছিলেন তার স্বামী। একই সঙ্গে তাদেরকে হাতেনাতে ধরার পরিকল্পনা করেছিলেন চোয়েওয়াদকোহর স্বামী সাই। ঘটনার দিন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। পরে প্রায় ৫ ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে বাড়িতে ফিরে স্ত্রীকে তার দত্তক ছেলের সাথে ঘনিষ্ট অবস্থায় ধরে ফেলেন তিনি।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট বলেছে, গত বছর থাইল্যান্ডের একটি মন্দির থেকে ফ্রা মাহাকে দত্তক নিয়েছিলেন সাই ও চোয়েওয়াদকোহ দম্পতি। ওই সময় চোয়েওয়াদকোহ বলেছিলেন, তিনি সন্ন্যাসী ফ্রা মাহার জন্য দুঃখ বোধ করছেন। বর্তমানে এই সন্ন্যাসী পলাতক আছেন।

রাজনীতিক চোয়েওয়াদকোহর সাথে দত্তক নেয়া ছেলের গোপন সম্পর্কের খবরটি থাইল্যান্ড ও প্রতিবেশী কয়েকটি দেশেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের হতবাক করেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে একজন লিখেছেন, ‌‌‘এটা বিস্ফোরক সংবাদ। এতে অনেক ঘটনা রয়েছে। এটা একেবারে নিখুঁত কল্পকাহিনীর মতো। ধনীদের দুনিয়া সত্যিই চমকপ্রদ ও বিশৃঙ্খলপূর্ণ।’

অপর একজন বলেছেন, ‘৬৪ বছর বয়সী একজন স্বামী, ৪৫ বছর বয়সী একজন স্ত্রী এবং ২৪ বছর বয়সী দত্তক নেয়া এক ছেলে; যিনি আবার সন্ন্যাসীও? এটা এমন এক জগাখিচুড়ি। এই ঘটনা দত্তক নেয়ার চেয়েও ছেলে-খেলনা সাথে রাখার মতো মনে হচ্ছে। এমনকি নাটকেও এই স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করার সাহস হবে না।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে থাই ওই নারী রাজনীতিকের একটি ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। ভিডিওটি চোয়েওয়াদকোহর স্বামী সাই নিজে ধারণ করেছেন বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

ভিডিওতে চোইওয়াদকোহর কাছে তার স্বামী সাই জানতে চান, ‘তোমরা দুজন কি খুশি?’ এ সময় তার স্ত্রী দত্তক নেয়া ছেলের সাথে সম্পর্ক থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হইনি। কেবল চ্যাট করেছি।’

ফ্রাও নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে বলেছেন, ‘কিছুই ঘটেনি।’

থাইল্যান্ডের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ সুখোথাইয়ের জনপ্রিয় নারী রাজনীতিবিদ চোয়েওয়াদকোহ। বর্তমানে স্থানীয় একটি চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট হিসাবে কাজ করছেন তিনি। গত বছরের মার্চে দেশটির রাজনৈতিক দল ডেমোক্র্যাট পার্টির সদস্য হন তিনি। এই কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর দলটিতে তার সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *