দুই নায়িকার দ্বন্দ্বে বন্ধ হলো শুটিং

দুই নায়িকার দ্বন্দ্বে বন্ধ হলো শুটিং

বিনোদন স্পেশাল

আগস্ট ১, ২০২৩ ১০:২২ পূর্বাহ্ণ

একসঙ্গে কাজ করতে গেলে অনেকসময় অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে পরস্পর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আবার এর বিপরীত চিত্রও মাঝেমধ্যে ধরা দেয়। যেমনটা দেখা গেল টালিউড অভিনেত্রী সোহিনী সরকার ও তৃণা সাহার মধ্যে। ওয়েব সিরিজ ‘মাতঙ্গী’র শুটিং সেটে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন তারা।

‘মাতঙ্গী’ শিরোনোমে ওয়েব সিরিজের শুটিং সেটে সোহিনীর সঙ্গে ‘ক্যাট ফাইট’ হয় তৃণার। তারপর শুটিং না করে সেট ছেড়ে চলে যান এই অভিনেত্রী।

কলকাতার গণমাধ্যম সূত্রে খবর, সোহিনী সরকারের সঙ্গে বিবাদের জেরে নাকি শুটিং ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন তৃণা সাহা! যদিও দুই নায়িকা এই বিষয়ে কোনোরকম মন্তব্য করেননি, তবে নায়িকা সংঘাতের খবর প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় টলিপাড়া।

জানা গেছে, মেকআপ আর্টিস্ট আর ভ্যান নিয়ে মনোমালিন্যের সূত্রপাত। তৃণা নাকি দাবি করেছিলেন তারও সোহিনীর মতো আলাদা ব্যবস্থা চাই। বছরখানেক ধরেই সোহিনী সরকারের ব্যক্তিগত যে মেকআপ ও হেয়ার স্টাইলিং টিম, তারা সবখানে অভিনেত্রীর সঙ্গে থাকেন। ‘মাতঙ্গী’র সেটেও হাজির ছিলেন তারা। সেটা দেখেই প্রযোজনা সংস্থার কাছে আলাদা মেকআপ টিমের বায়না ধরেন টেলিপর্দার জনপ্রিয় ‘বালিঝড়’ অভিনেত্রী।

শুটিং টিমের একাংশের দাবি, তৃণা নাকি প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে এই প্রসঙ্গে ভালো করে কথা বলেননি। এমনকি পরিচালকদ্বয়ের সঙ্গেও অভিনেত্রী দুর্ব্যবহার করেন। সেটের মধ্যেই নাকি তিনি চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। অভিনেত্রীর এমন আচরণ নিয়ে কানাঘুষাও হয়! তবে ঝামেলা আরও বাড়ে সোহিনীর একটি মেসেজে।

সূত্রের খবর, আর্টিস্ট গ্রুপে নাকি ‘সত্যবতী’ কারো নাম না করেই লেখেন, ২০১৮ সাল থেকে নিজের যোগ্যতায় আলাদা স্টাইলিং টিম পেয়ে আসছেন তিনি। তাই অপেক্ষা করলে সময়মতো সকলের জন্যই বন্দোবস্ত হয়। আর সেই কথা চাউর হতেই নাকি অপমানিত বোধ করেন তৃণা সাহা। তারপরই শুটিং ছেড়ে বেরিয়ে যান। তিনি এও দাবি করেন যে, সোহিনীকে ক্ষমা চাইতে হবে, কিন্তু আরেক নায়িকা এতে ঘোর আপত্তি জানান।

এদিকে, দুই নায়িকার দ্বন্দ্বের জেরে ঝামেলায় পড়েছে ‘মাতঙ্গী’ টিম। সিরিজটিতে ইতোমধ্যে তৃণা সাহার অর্ধেকেরও বেশি অংশের শুটিং হয়ে গিয়েছে। তাই এই মুহূর্তে নতুন কাউকে নিয়ে কাজ করাও সম্ভব নয়। এই সিরিজের যৌথ প্রযোজক হিসেবে আছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *