ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে শীত জেঁকে বসবে

ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে শীত জেঁকে বসবে

জাতীয় স্লাইড

নভেম্বর ১৬, ২০২২ ৮:০৬ পূর্বাহ্ণ

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে এ বছর তুলনামূলক আগেই সারা দেশে কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। বিশেষত উত্তরবঙ্গে রাত থেকে ভোর পর্যন্ত হালকা কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। গত সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে বাতাস শীতল হতে শুরু করেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, নভেম্বরের মধ্যভাগের পরেই নেমে গেছে শীত। আর ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে জেঁকে বসবে। আগামী মাসের মাঝামাঝিতে একটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের বেশিরভাগ এলাকার তাপমাত্রা এক সপ্তাহের ব্যবধানে এলাকাভেদে ৫ থেকে সর্বোচ্চ ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমেছে। উত্তরের কিছু এলাকায় সন্ধ্যার পর ঠান্ডা থেকে বাঁচতে শীতের কাপড় পরতে হচ্ছে। ডিসেম্বর-জানুয়ারির মতো সড়ক ও নৌপথে চলতে বাধ সাধছে কুয়াশা। শহরে কুয়াশার সঙ্গে ধুলা যোগ হয়ে দৃষ্টিসীমা ঝাপসা করে দিচ্ছে।

গতকাল মঙ্গলবার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন ১৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। থার্মোমিটারের পারদ ঢাকায় ১৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, ডিসেম্বরে পুরো শীতের তীব্রতা থাকবে। এবার বাংলাদেশে শীতকাল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি দীর্ঘ হবে।

আবহাওয়াবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, যে বছর লা নিনা থাকে, সে বছর প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝবরাবর তাপমাত্রা বেড়ে একটি উষ্ণ রেখা তৈরি হয়। আর বাতাস পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে বয়ে যায়। এতে উষ্ণ বাতাস ও পানি প্রশান্ত মহাসাগর থেকে ভারত মহাসাগর হয়ে বঙ্গোপসাগরে চলে আসে।

লা নিনার এ ধরনের আচরণের ফলে বাংলাদেশ, ভারত, অস্ট্রেলিয়াসহ বিস্তৃত অঞ্চলে শীতকালে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকে, ফলে শীত বেশি পড়ে।

এল নিনো ও লা নিনা শব্দ জলবায়ুর দুটি ধরণ। এতদিন ধরে ভারতীয় জলবায়ুর ওপর এল নিনো ধরণ সক্রিয় ছিল। এল নিনোর সময়ে উষ্ণ সামুদ্রিক জলস্রোতের প্রভাব পড়ে। আর লা নিনার সময়ে শীতল সমুদ্র স্রোতের প্রভাব পড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *