গাজায় আরও ৩০০ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা

গাজায় আরও ৩০০ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা

আন্তর্জাতিক স্লাইড

নভেম্বর ২৪, ২০২৩ ৮:৩৩ পূর্বাহ্ণ

ফিলিস্তিনের হামাসের সঙ্গে ইসরাইলের বৃহস্পতিবার থেকে ৪ দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা বিলম্বিত হওয়ায় অবরুদ্ধ গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

৪ দিনের যুদ্ধবিরতি বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকিলেও হামাসের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত দাবি তোলায় তা বিলম্বিত হয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে। কিন্তু সেই অতিরিক্ত দাবির ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। এ যুদ্ধবিরতির বিলম্বের সুযোগে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল।

ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র পিটার লেনার বিবিসিকে জানিয়েছেন, চুক্তির চূড়ান্ত ঘোষণার পর সরকারের কাছ থেকে নির্দেশনা পেলেই তারা লড়াই বন্ধ করবেন। তিনি জানান, নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত হামাসের বিরুদ্ধে তাদের হামলা চলবেই। ইসরাইল বৃহস্পতিবার সকালে জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় গাজায় সুড়ঙ্গ, অস্ত্রাগারসহ ৩০০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে সেনাবাহিনী।

গাজার খান ইউনুস এবং নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরে চালানো পৃথক হামলায় আরও ২০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালককে গ্রেফতার করেছে ইসরাইল। দক্ষিণ গাজার খান ইউনুসের পূর্বে পাঁচটি বাড়িতে ইসরাইলি হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত এবং আরও কয়েকজন নিখোঁজ হয়েছেন। এছাড়া মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহে আরও দুটি বাড়ি এবং একটি অ্যাপার্টমেন্টের হামলায় অনেক হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরে হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

এদিকে গাজার আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালককে গ্রেফতার করেছে ইসরাইল। হাসপাতালের একজন ডাক্তার এএফপিকে বলেছেন, এর পরিচালকসহ আরও কয়েকজন চিকিৎসা কর্মীকে ইসরাইলি বাহিনী গ্রেফতার করেছে। এদিকে গাজাকে শিশুদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক জায়গা বলে উল্লেখ করেছে ইউনিসেফ।

এদিকে যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারী কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি কখন থেকে শুরু হবে ‘কয়েক ঘণ্টার মধ্যে’ তারা জানাবে। সিএনএন জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল থেকে যুদ্ধবিরতি শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে বলে দুই পক্ষ সম্মত হয়েছিল।

একই সঙ্গে জিম্মিদের মুক্তি ও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির প্রক্রিয়াও শুরু হওয়ার কথা ছিল। হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে শুক্রবার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হলে ৪ দিনের মধ্যে হামাস ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে। অপরদিকে ইসরাইল তাদের কারাগার থেকে ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। দুই পক্ষই মূলত নারী ও শিশুদের মুক্তি দেবে।

এদিকে ফিলিস্তিনি সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ১৪ হাজার ৫৩২ জনে পৌঁছেছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনির মধ্যে শিশুর সংখ্যাই ৬ হাজারের বেশি। এছাড়া নিহতদের মধ্যে চার হাজারেরও বেশি নারী রয়েছেন। ইসরাইলি হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৩০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *