কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে আরো ৮২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা সাড়ে পাঁচ শতাধিক কমেছে। এতে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ৬৩ লাখ ৫০ হাজার ২৩৯ জনে পৌঁছেছে।
একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৪২ হাজার ৩৮৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে আড়াই লাখের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৫৪ কোটি ৮৬ লাখ ৩৯ হাজার ৯৭১ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটার থেকে রোববার সকালের দিকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটেছে জার্মানিতে। এ সময়ে দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯ হাজার ৩৩৬ জন এবং মারা গেছেন ৮৪ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৭৭ লাখ ৭১ হাজার ১১১ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৪০ হাজার ৭৩৪ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে তাইওয়ান। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৫১ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৪০ হাজার ৩৯৮ জন।
আর লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৩৬ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩১ হাজার ২৩০ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ২০ লাখ ৬১ হাজার ৯৫৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৭০ হাজার ৪১৮ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ হাজার ২৬১ জন এবং মারা গেছেন ৬১ জন। করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৮৭ লাখ ৭৭ হাজার ১৫২ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৪০ হাজার ৭৯১ জন মারা গেছেন।
আর রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬১ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ৭২ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮৪ লাখ ১৫ হাজার ৮৭৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৮৩৭ জনের।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।