সারা বাংলাদেশ যখন ঘুমায় শেখ হাসিনা তখন চিন্তা করেন : মতিয়া চৌধুরী

রাজনীতি স্পেশাল স্লাইড

আগস্ট ৩১, ২০২৩ ১০:০৫ অপরাহ্ণ

‘‘বাংলাদেশ এখন আর আগের দেশ নেই। এখন আমরা অনেক উন্নত হয়েছি। দেশের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। সারা বাংলাদেশ যখন ঘুমায় শেখ হাসিনা তখন চিন্তা করেন কীভাবে আগামীর দিনটি আরো উজ্জ্বল করে জনগণকে উপহার দেওয়া যায়।’’

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও পররাষ্ট্রনন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিকেল ৫টায় তেজগাঁও কলেজ অডিটোরিয়ামে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি ড. মশিউর মালেক। প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, বিশেষ আলোচক ছিলেন সাবেক সচিব মো. শহিদ উল্লাহ খন্দকার। এছাড়াও সভায় তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ ড. হারুন অর রশিদ শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন।

ছবি : শীর্ষ খবর/রুবেল

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, একাত্তরের ১৫ আগস্ট সভ্যতার সমস্ত রীতি নীতি বিসর্জন দিয়ে সপরিবারের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়। শিশু শেখ রাসেলকেও হত্যা করা হয়, গর্ভিনী নারীকেও পর্যন্ত নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আজকে যারা ক্রান্তিকালের কথা বলছে তারা সেদিন চুপ করে ছিল। তাদের প্রতি ঘৃণার থুথু।

বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে আজকে বাংলাদেশের মানুষ মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছে। আজকে গ্রাম বাংলায় গেলে দেখা যায় ফকিরকে পান্তা ভাত দিলে খেতে চায় না। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা সব ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্ব সফলতা এনেছে। এক সময় হকার্স মার্কেট ছিল বিদেশিদের ব্যবহৃত কাপড় বিক্রি করা হত। আজকে সেইসব সেকেন্ড হ্যান্ড কাপড় পাওয়া যায় না গাড়ি মোছার জন্যও। পৃথিবীর কোথাও শিক্ষা বর্ষের প্রথম দিনে প্রধান শিক্ষা উপকরণ বই ফ্রি দেওয়া হয় না।আজকে কমিউনিটি ক্লিনিকে ৩০ রকম ওষুধ দেওয়া হয়। তেমন কোনো জটিল রোগ ছাড়া হাসপাতালে রোগী পাওয়া যায় না। বাসস্থানের যে প্রতিশ্রুতি শেখ হাসিনা দিয়েছেন সেটা শুধু বাস্তবায়নই নয়, সেটা দেখভাল করছেন, আরো উন্নত করার কাজ হচ্ছে। টিনের ঘর থেকে বিল্ডিং হচ্ছে।

যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ্য করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ইউনিয়ন অফিস থেকে উপজেলা পর্যন্ত প্রত্যেকটা জায়গায় রাস্তা হয়েছে। সারা বাংলাদেশ যখন ঘুমায় শেখ হাসিনা তখন চিন্তা করেন কীভাবে আগামী দিনটি আরো উজ্জ্বল করে জনগণকে উপহার দেওয়া যায়৷ আমরা এখন মোটামুটি একটা মাথাপিছু আয় বাড়ানোর দেশে আছি। শেখ হাসিনানর নেতৃত্বে আর কিছুদিন পর আমরা ঘোষণা করতে পারবো আমরা একটি উন্নত দেশে আছি।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ১৫ আগস্টে জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আজকে অনেকে অনেক কথা বলে। তখন কিন্তু পৃথিবীর কোনো দেশ মানবতার গান গায়নি। কেউ তাদের মৃত্যুতে শোকবার্তা দেয়নি। আজকে বিভিন্ন দেশ সতর্ক বার্তা দেন। কিন্তু এতগুলো লোক নৃশংসভাবে মৃত্যু বরণ করল তাতে কোনো কথা নেই। পরিবারের চারজন ভাগ্যবশত বেঁচে গেছে৷ তবে আল্লাহর মেহেরবানী বঙ্গবন্ধু কন্যা ঘাতকদের বিচারের ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় পিতা হত্যার ৬ বছর পর্যন্ত তিনি দেশে ফিরতে পারেনি। বাপের বিচারের জন্য কোথাও যেতে পারেননি।

বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভায় বক্তব্য রাখছেন সংগঠনের সভাপতি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। ছবি : শীর্ষ খবর/রুবেল

মন্ত্রী বলেন, আজকে শোকের মাসকে প্রত্যয় নিয়ে আমরা শক্তি অর্জন করতে চাই। শোককে শক্তিকে রুপান্তর করে সকল অপশক্তিকে রুখে আগামীতেও আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনবো।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক সাংসদ মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল ইসলাম মনি, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদা হক কণিকা, সুপ্রিমকোর্ট বার শাখা সভাপতি এডভোকেট গৌরঙ্গ চন্দ্রকর, সাধারণ সম্পাদক ও সহকারী অ্যাটর্নী জেনারেল এডভোকেট আবু নাসের স্বপন, কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য-গবেষণা সম্পাদক ও সাপ্তাহিক শীর্ষ খবর’র সম্পাদক এডভোকেট মনিরুজ্জামান (শ্বাশত মনির), বরগুনা জেলা কমিটির আহ্বায়ক জামাল বিশ্বাস, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি ড. এ এইচ এম মাহবুবুর রহমান, আজীবন সদস্য ও আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সৈয়দ আইনুল হক, সহসম্পাদক ডেভিড এ হালদার, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক টিপু সুলতান, সাহিত্য সম্পাদক শাহানা জেসমিন, মহিলা আওয়ামী লীগ ওয়াশিংটনের সভাপতি মহাসিনা জান্নাত রীনি, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের ভারত শাখা সভাপতি মীর শামীম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য রেজাউল করীম প্রমুখ।

/এসএস/শীখ/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *