গাজীপুরের বাসন থানায় পুলিশের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতারের পর জামিনে কারামুক্ত হয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।
শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে গাজীপুর জেলা কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে তিনি মহানগরের তেলিপাড়া এলাকায় নিজ মালিকানাধীন ফারিশতা রেস্টুরেন্টের সামনে সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেন।
মাহিয়া মাহি বলেন, আমি লাইভে পুলিশের বিরুদ্ধে বলে ভুল করেছি। একজন পুলিশ কমিশনার আমাদের পুলিশ প্রশাসনকে রিপ্রেজেন্ট করে। তাই আমার লাইভে বলাতে পুরো বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসনকে বিতর্কিত করেছি হয়তো। আমি সেটার জন্য দুঃখিত, আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি যে দেড় কোটি টাকার কথা বলেছি সেটা অবশ্যই তদন্ত হবে। আমি ন্যায়বিচারের জন্য সবার কাছে যাবে। আমি অন্যায় করে থাকলে শাস্তি মাথা পেতে নেব।
তিনি বলেন, আমি কি এত বড় আসামি হয়ে গেছি? আমি তো এত বড় আসামি না। আমি লাইভে একজনের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, সে ডিজিটাল আইনে মামলা করেছে, আমি সেটার আসামি। কিন্তু আমি তো কোনো রাষ্ট্রদ্রোহী না, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছি মাত্র।
মাহিয়া মাহি আরও বলেন, আমি সব কিছু নিয়ে এখন ভীত সন্ত্রস্ত। এতো গোপনীয়তা কিসের? আমি তো এ রকম কোনো আসামি না। আমি আমার স্বামীর নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। আমাকে যখন কোর্টে নেওয়া হয়েছে – কোর্টে নেওয়ার পরে বিচারক তো আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করবে, তার কিছুই করেননি।
এ ঘটনায় মাহিয়া মাহি জিডি করবেন কিনা জানতে চাইলে ঢাকাই সিনেমার নায়িকা জানান, তিনি সবকিছু নিয়ে খুবই আতঙ্কিত। তিনি দাবি করেন, এ ঘটনার সঠিক তদন্ত করা হোক ও কাউকে যেন হয়রানি না করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মাহিয়া মাহির এক মামা ও আইনজীবীরাও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, শনিবার সন্ধ্যায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইকবাল হোসেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও এক ব্যবসায়ীর করা জমি দখলের মামলায় মাহিয়া মাহির জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিন শুনাতিতে মাহিয়া মাহির পারিবারিক আইনজীবী অ্যাডভোকেট রিপন চন্দ্র সরকার বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ দুটি মামলাতেই মাহিয়া মাহির জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার (১৮ মার্চ) সকালে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরেন। ফ্লাইট থেকে নামার পর বিমানবন্দর থেকেই তাকে গ্রেফতার করে গাজীপুর ডিবি পুলিশ।