নেছারাবাদে গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে স্ত্রীর গুরুতর অভিযোগ

নেছারাবাদে গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে স্ত্রীর গুরুতর অভিযোগ

দেশজুড়ে

এপ্রিল ২৮, ২০২৪ ২:০৭ অপরাহ্ণ

সোহেল রায়হান, নেছারাবাদ (পিরোজপুর)।।

নেছারাবাদের সোহাগদল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বর্তমান গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) মোঃ সোহেল মিয়া (৩৪) (পিতাঃ মৃত মোঃ আব্দুর রহমান)এর বিরুদ্ধে তার স্ত্রী মোসাঃ সালমা আক্তার স্বর্না (৩২) (পিতাঃ মোঃ আব্দুল মালেক, গ্রামঃ বরছাকাঠী,ওয়ার্ড নং-৪,সোহাগদল, নেছারাবাদ)বিভিন্ন প্রকার হয়রানি,যৌতুকের দাবী এবং গুরুতর শারীরিক ও মানষিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন।এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী/অভিযোগকারী সালমা আক্তার স্বর্না শীর্ষ খবরকে বলেন- আমার সোহেলের সাথে মুসলিম শরিয়াহ মোতাবেক গত ০৫/১০/২০১১ ইং তারিখ মাত্র ৫০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করিয়া বিবাহ সম্পন্ন হয়।তারপর থেকে আমরা স্বামী স্ত্রী হিসেবে সংসার জীবন শুরু করি।এমতাবস্থায় আমাদের তিনটি সন্তান।একটি ছেলে দুটি মেয়ে।বড় ছেলে সালমান (১২) মেঝো মেয়ে ছোয়ামনি(৭) এবং ছোট মেয়ে তোয়ামনি(৮ মাস)। আমার প্রথম ছেলে হওয়ার পর থেকেই আমার স্বামী এবং তার পরিবারের সকলে বিশেষ করে আমার শাশুড়ী,ননদ এবং আমার নীজ স্বামীর দ্বারা আমি ও আমার সন্তানরা বিভিন্ন ধরনের অমানবিক আচরন ও নির্যাতনের স্বীকার হই এবং আমার স্বামী সোহেল ও আমার শাশুড়ী বিভিন্ন সময়ে আমার এবং আমার গরীব অসহায় মা বাবার কাছ থেকে যৌতুকের দাবি করে আসছে।স্বামীর চাপে এবং নির্যাতনের শিকার হয়ে আমি আমার অসহায় মা বাবার কাছ থেকে বেশ কিছু টাকা নিয়ে দেই।পরবর্তীতে ২,০০,০০০/-(দুই লক্ষ) টাকার যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময়ে আমাকে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতনে আমার জীবন দুর্বিষহ করিয়া তুলিলে আমার পিতা আমার সুখ শান্তির কথা চিন্তা করিয়া গত ৫ বছর পূর্বে আমার স্বামীর বসতগৃহ উত্তোলনের জন্য ২ লক্ষ টাকা কিস্তিতে উত্তোলন করিয়া দিলে ঐ টাকা দিয়া আমার স্বামী সোহেল থাকার বসতগৃহ উত্তোলন করে।সেই কিস্তির টাকা আমার মা বাবা পরিশোধ করে।কিছুদিন আগে আবারো যৌতুক বাবদ ২ লক্ষ টাকা দাবী করে।এতে আমি রাজি না হলে আমাকে মারধর করে এক বস্ত্রে আমার পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দেয় এবং টাকা না দিলে আমাকে,সন্তানদের ও আমার অসহায় গরীব মা বাবাকে বিভিন্ন প্রকারের হুমকি ধমকি ও মেরে ফেলার ভয় ভীতি প্রদর্শন করে।এখন আমি এবং আমার সন্তানেরা সহ আমার গরীব অসহায় মা বাবা খুবই ভীত এবং খেয়ে না খেয়ে খুব কস্টে আমার বাবার বাড়িতে থেকে দিন পার করছি।আমার স্বামী সোহেল বর্তমানে প্রায় ৮ মাস আগে পরকিয়া করে আমার অমতে আমাকে না জানিয়ে আর একটা বিবাহ করেছে।এখন সে সেই নতুন বউ নিয়ে সুখের সংসার করতেছে।আর আমার ও সন্তানদের কোনো ভরন পোষন দিচ্ছেনা এবং কোনো খোজ খবরও নিচ্ছে না।

নেছারাবাদে গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে স্ত্রীর গুরুতর অভিযোগ

ভুক্তভোগী মোসাঃ সালমা আক্তার স্বর্না ও তার সন্তানেরা (বামে), সোহেলের দ্বিতীয় স্ত্রী মোসাঃ আফসানা তন্নী (ডানে)

উল্লেখ্য সোহেল মিয়ার দ্বিতিয় স্ত্রীর(নতুন বউ) নাম- মোসাঃ আফসানা(তন্নী) ৯ নং সুটিয়াকাঠি ইউনিয়নের নান্দুহার গ্রামের ৪ নং ওয়ার্ডের মোঃ মোশাররফ হোসেন(মুদি দোকানদার)এর কন্যা।

সালমা আক্তার স্বর্নার ভাষ্যে- এখন আমি এবং আমার পরিবার তথা আমার মা বাবার দাবি -আপনাদের মাধ্যমে যাতে আমি আমার স্বামীর সংসার ফিরে পেতে পারি এবং আমার সন্তানদের খাইয়ে পড়িয়ে মানুষ করতে পারি এবং এই সমস্যার সুষ্ঠ সমাধান পেতে পারি তাহার জন্য সরকার ও প্রশাসনের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।আশা করি সরকার,প্রশাসন এবং আপনারা বিবেগবান মানুষেরা একটা অসহায় গরীব নির্যাতিত পরিবারের পাশে দাড়াবেন।

এ ব্যাপারে মোঃ সোহেল চৌকিদার ও তার পরিবার পরিজনের সাথে সরাসরি কথা বললে তারা এ ধরনের সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।এবং সোহেল বলেন- আমি কখনো যৌতুকের দাবি করিনি,ওদের কাছ থেকে কোনো টাকা পয়সা আনিনি এবং কখনো কোনো শারীরিক বা মানষিক নির্যাতন করিনি।

উল্লেখ্য অভিযোগকারী/ভুক্তভোগী মোসাঃ সালমা আক্তার স্বর্না বলেছেন- মানষিক এবং শারীরিক নির্যাতনের ও টাকা পয়সা আত্মসাৎ সহ সোহেলের সকল অপকর্মের সাক্ষী/প্রমানাদি তাদের কাছে রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *