সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩ ২:২৮ অপরাহ্ণ
মোহাম্মদ আল এমরান
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদের সঙ্গে আগ্রহ চিত্তে সেলফি তুলছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হাসিনা-বাইডেনের সেলফি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বাইডেন-হাসিনার শুভেচ্ছা বিনিময় শুধুই সেলফির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলনা। দীর্ঘ সময় একত্রে তাদেরকে হাসিমুখে দেখা গেছে। যার মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্কের নতুন মোড় নিবে বলে বুঝা যাচ্ছে। মোদির নৈশভোজে হাসিনা-বাইডেনকে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে আলাপচারিতায় দেখা গেছে। এরই মাঝে শেখ হাসিনা বাইডেনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। বাইডেন হাসিনার আমন্ত্রণ অত্যন্ত আগ্রহের সহিত গ্রহণ করেছেন।
জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে শনিবার দীর্ঘ ১৫ মিনিট আলোচনা হয়েছে জো বাইডেন ও শেখ হাসিনার। বাইডেন নিজেই সেলফি তুলেছেন শেখ হাসিনা ও তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদের সঙ্গে। এ ছবি যেন হয়ে উঠেছে দুই নেতার সম্পর্কের এক নতুনমাত্রা। রাতে প্রধানমন্ত্রীর আবাসস্থলে এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
এর আগে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি নিয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লিতে আসা বিশ্বনেতাদের সম্মানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আয়োজিত নৈশভোজে শেখ হাসিনা, জো বাইডেন ও নরেন্দ্র মোদি একত্রিত হন। এসময় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানাও তাদের সাথে উপস্থিত ছিলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির নৈশভোজের ফাঁকে বিশ্বনেতারা একত্রিত হয়ে বাংলাদেশ ও বিশ্ব রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন। জি-২০ সম্মেলনের পর মোদির নৈশভোজে দীর্ঘ ১৫ মিনিট জো বাইডেন ও শেখ হাসিনার আলোচনা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা এবং অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার নিয়ে কাজ করেন শুনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অনেক প্রশংসা করেছেন। পরবর্তীতে যোগাযোগের জন্য সায়মা ওয়াজেদের ভিজিটিং কার্ড চেয়ে নিয়েছেন জো বাইডেন।
নানা মহল থেকে নানা কথা বলা হলেও বাংলাদেশকে কোনো ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র চাপ দেয়নি বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন রাজনৈতিক বা মানবাধিকার ইস্যুতে কোনো প্রশ্ন নয় বরং শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সাফল্যের বিষয়ে অবগত থাকার কথা জানিয়েছেন জো বাইডেন।
আমাদের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক অনেক বড় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন তারা আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোর জন্য লোকজন পাঠান। তারা আমাদের কোনো চাপ দেন না বরং আপনারা (গণমাধ্যম) আমাদের চাপে রাখেন। আজকের বৈঠকের মধ্য দিয়ে সমালোচকদের মুখে চুলকানি পড়ল।
উল্লেখ্য যে, শনিবার সফরের দ্বিতীয় দিনে জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে সংযুক্ত আরব আমিরাত, দক্ষিণ কোরিয়া ও আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যেখানে গুরুত্ব পায় দ্বিপাক্ষিক নানা ইস্যু। এছাড়া সৌদি ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আব্দুল আজিজ এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকসহ বিশ্বনেতাদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় হয় প্রধানমন্ত্রীর।