শিক্ষক নিয়োগের আবেদন শুরু, পছন্দ করা যাবে ৪০ প্রতিষ্ঠান

শিক্ষক নিয়োগের আবেদন শুরু, পছন্দ করা যাবে ৪০ প্রতিষ্ঠান

শিক্ষা

ডিসেম্বর ৩০, ২০২২ ৯:৪০ পূর্বাহ্ণ

এমপিওভুক্ত ৬৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর)। এদিন বেলা ১২ টায় শূন্যপদের তালিকা প্রকাশের পর প্রার্থীরা শিক্ষক নিয়োগে আবেদন শুরু করেন।।

জানা যায়, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ওয়েবসাইটে লগইন করে শূন্যপদের সংখ্যা দেখা যাবে। সেই সঙ্গে এ দিন থেকেই আবেদন শুরু হবে। যা চলবে আগামী ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। তালিকা এনটিআরসিএর (www.ntrca.gov.bd) এবং টেলিটকের ওয়েবসাইটে (http://ngi.teletalk.com.bd) দেখা যাবে।

চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৬৮ হাজার ৩৯০ জন এমপিওভুক্ত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এরমধ্যে স্কুল-কলেজে ৩১ হাজার ৫০৮ এবং মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদের সংখ্যা ৩৬ হাজার ৮৮২।

এর আগে এনটিআরসিএ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের (স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা) প্রবেশ পর্যায়ে (Entry Level) নিম্নবর্ণিত শূন্যপদ পূরণের লক্ষ্যে শিক্ষক হতে আগ্রহী নিবন্ধনধারী প্রার্থীদের নিকট থেকে নিম্নলিখিত শর্তে অনলাইন আবেদন (e-Application) আহ্বান করা যাচ্ছে। আবেদনের জন্য আবেদনকারীকে নির্ধারিত এক হাজার টাকা ফি দিতে হবে। নির্ধারিত ফি প্রদান না করলে আবেদনটি গ্রহণ হবে না।

আবেদনের যোগ্যতা : 

আবেদনকারীর যোগ্যতা নিয়ে গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট বিষয়, পদ ও প্রতিষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী নিবন্ধনধারী হতে হবে, এনটিআরসিএ কর্তৃক প্রকাশিত সম্মিলিত মেধা তালিকার অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে জারিকৃত সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে। কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবরণ দেখার জন্য এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটের ‘চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি’ নামের সেবা বক্সে ক্লিক করতে হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে জারিকৃত সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী প্রার্থীকে আবশ্যিকভাবে কেবলমাত্র তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত বিষয় সংশ্লিষ্ট পদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে হবে। আবেদনকারী মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে আবেদন করলে এবং নিয়োগ সুপারিশ প্রাপ্ত হলে ঐ সুপারিশ বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ নেওয়া হবে।

আবেদনকারীর বয়স :

আবেদনকারীর বয়স নিয়ে গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রার্থীর বয়স ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ মার্চ ৩৫ বছর বা তার কম হতে হবে। প্রত্যেক আবেদনকারী নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী একই পর্যায়ে (স্কুল/কলেজ) একটি মাত্র আবেদন করতে পারবেন।

১ হাজার টাকা ফিতে ৪০ পছন্দ:

একজন প্রার্থী শূন্য পদের তালিকা থেকে তার আবেদনে সর্বোচ্চ ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পছন্দ করতে পারবেন। এরপরও কোন প্রার্থী যদি তার পছন্দ বহির্ভূত দেশের যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করতে ইচ্ছুক হন তবে তাকে ই-অ্যাপ্লিকেশন ফরমে প্রদর্শিত ‘আদার অপশন (Other Option)’ নামের বক্সে ইয়েস ক্লিক করতে হবে। যদি ইচ্ছুক না হোন তবে নো ক্লিক করতে হবে।

প্রতিষ্ঠান পছন্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করতে বলেছে এনটিআরসিএ। প্রতিষ্ঠারটি জানিয়েছে, যেসব প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট শূন্যপদের বিপরীতে কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থী নেই যেসব প্রতিষ্ঠানের এমপিও পরবর্তীতে বা ভবিষ্যতে বাতিল হতে পারে। বিধায় বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত যেসব এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদের বিপরীতে কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থী নেই সেসব পদে পরবর্তীতে বা ভবিষ্যতে নিয়োগ সুপারিশ দেওয়া যাবে না।

আবেদন ফি প্রদানের তারিখ ও সময়

২৯ ডিসেম্বর বেলা ১২টা থেকে শূন্যপদে আবেদন (e-Application) পূরণ ও ফি জমা প্রদান শুরুর সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া আবেদন জমার শেষ সময় ২৯ জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২টা পর্যন্ত। এ দিন রাত ১২টা থেকে শুধু আবেদনপত্রপ্রাপ্ত (Application ID) প্রার্থীগণ পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২টা পর্যন্ত এসএমএসের মাধ্যমে ফি জমা দিতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *