রাশিয়াকে ঠেকাতে ইউক্রেনকে এবার ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক স্লাইড

মে ২৮, ২০২২ ৮:২৬ পূর্বাহ্ণ

সামরিক এবং অন্যান্য সহায়তার একটি নতুন প্যাকেজের অংশ হিসেবে ইউক্রেনে এবার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই নতুন এই সহায়তা প্যাকেজের ঘোষণা আসতে পারে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন শুক্রবার (২৭ মে) এক প্রতিবেদনে জানায়, ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দিলে তারা এগুলো রাশিয়ার অভ্যন্তরে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্য ব্যবহার করতে পারে, এমন ‘শঙ্কা’ থেকে এর আগে কিয়েভকে ‘উন্নত অস্ত্র’ পাঠায়নি বাইডেন প্রশাসন। তবে এবার সেই অবস্থান থেকে সরে আসছে ওয়াশিংটন।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ইউক্রেনকে কয়েক বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

তবে রাশিয়াকে মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে আরও বেশি সহায়তা চেয়ে আসছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তারা।

গেল এপ্রিলে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা বুলেটপ্রুফ ভেস্ট বা বিশেষ হেলমেট চাই না। আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র দিন, যুদ্ধবিমান দিন। এফ-১৮ বা এফ-১০ মডেলের আধুনিক যুদ্ধবিমান দিতে না পারলেও, আমাদের পুরোনো সোভিয়েত বিমান দিন; যা দিয়ে আমি আমার দেশকে রক্ষা করতে পারি।’

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের চাহিদা অনুযায়ী ‘এমএলআরএস’ বা ‘হিমার্স’-এর মতো দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সরবরাহ করবে কিনা তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করেনি যুক্তরাষ্ট্র। তবে পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি শুক্রবার (২৭ মে) সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরবর্তী প্যাকেজটি কেমন হবে তা নিয়ে আমরা এখনও কাজ করছি। এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যদিও আমরা ইউক্রেনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।’

ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এই সহায়তার ঘোষণায় এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি মস্কো। তবে ওয়াশিংটন এমন পদক্ষেপ নিলে রাশিয়া হামলা আরও জোরদার করতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

এদিকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল দোনবাসের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর লিমান দখলে নেয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। শুক্রবার (২৭ মে) দোনবাসে রুশপন্থী স্বাধীনতাকামীরা জানান, রুশ বাহিনীর সহযোগিতায় শহরটির পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন তারা।

ইউক্রেনে চলমান অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে লিমান শহর দখলের বিষয়টিকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ শহরটির সঙ্গে কিয়েভ নিয়ন্ত্রণাধীন দুটি শহর স্লোভিয়ানস্ক ও ক্রামাতোরস্কের সংযোগ রয়েছে।

চলতি সপ্তাহে পূর্ব ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চলের ৪০টিরও বেশি শহরে একযোগে গোলাবর্ষণ শুরু করে রুশ সেনারা। এর মধ্যে এ অঞ্চলের সেভেরোদোনেৎস্ক শহরটি চারপাশ থেকে ঘিরে রেখেছে তারা। বৃহস্পতিবার (২৬ মে) শহরটি চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলার দাবি করে মস্কো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *