যে দেশে একটিও মশা নেই!

যে দেশে একটিও মশা নেই!

ফিচার স্পেশাল

জুলাই ৮, ২০২৩ ৯:২৯ পূর্বাহ্ণ

ডেঙ্গু রোগ ছড়ানো এডিস মশার দাপট বেড়েছে। মশাবাহিত রোগের হাত থেকে বাঁচতে সচেতনতার প্রচার চলছে। দেশের মানুষ যখন এডিস আতঙ্কে আছে, তখন জানা গেল একটি দেশের খবর। যে দেশে একটিও মশা নেই! শুনতে অদ্ভুত লাগলেও সত্যি।  এই দেশে শুধু মশাই নয়, এখানে কোনও পোকামাকড় বা সাপখোপও নেই। দেশটির নাম আইসল্যান্ড। এটি একটি মশাবিহীন দেশ।

মশা বা পোকামাকড় সম্পর্কে এই দেশের লোকজনের এরকম কোনো ধারণাই নেই। চলুন জেনে নেই মশা বিহীন দেশটি সম্পর্কে।

মশাবিহীন এই দেশটি হলো উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত আইসল্যান্ড। ওয়ার্ল্ড অ্যাটলাসের মতে, এই বিক্ষিপ্ত জনসংখ্যার দেশটিতে প্রায় ১৩০০ প্রজাতির প্রাণী রয়েছে, অথচ একটি মশার চিহ্নও নেই সেখানে। যদিও এর প্রতিবেশি রাষ্ট্র গ্রিনল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং ডেনমার্কের মতো দেশগুলোতে প্রচুর মশা দেখতে পাবেন। কিন্তু আইসল্যান্ডে মশার অনুপস্থিতি অনেক গবেষকদের কাছেই একটি আকর্ষণীয় বিষয়।

আইসল্যান্ড দেশটি মশাবিহীন হওয়ায় বেশ কয়েকটি কারণ জানা গেছে। বলা হয় যে, মশার বংশবৃদ্ধির জন্য অগভীর জলাশয় কিংবা জমা স্থির পানির প্রয়োজন হয়, সেখানে মশা ডিম পাড়ে এবং সেই ডিম থেকে জন্মায় লার্ভা। এই মশার লার্ভা জন্মানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে জমে থাকা পানির প্রয়োজন হয়। মশার জীবনচক্র পরিপূররণের জন্য আইসল্যান্ডে কোনও স্থির জলাশয় নেই। ফলে সেদেশে মশা বংশবৃদ্ধি করতে পারবে না।

মশা না থাকার আরেকটি কারণ হল আইসল্যান্ডের তাপমাত্রা খুবই কম। এমনকি এখানে কখনও কখনও তাপমাত্রা মাইনাস ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গিয়ে পৌঁছায়। এখানে পানি অতি দ্রুত জমে যায়। এই এখানে কারণে মশার উৎপাতও অসম্ভব। আরেকটি কারণ হতে পারে যে, আইসল্যান্ডের পানি, মাটি এবং সাধারণ বাস্তুতন্ত্রের সংমিশ্রণ মশাদের জন্মের জন্য সহায়ক নয়।

মশা ছাড়াও এখানে সাপ এবং অন্যান্য কোনও পোকামাকড় চোখে পড়বে না। আসলে এখানকার জলবায়ু এই সব সরীসৃপ বা কীটপতঙ্গ জন্মের পক্ষে অনুকূল নয়। যদিও এই দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে মিজ পোকা দেখতে পাওয়া যায়। সেগুলো দেখতে হুবহু মশার মতো এবং সেগুলো কামড়ায়। তবে মশার মতো এরা অতটা আক্রমণাত্মক নয়। মশা জামা কাপড়ের উপর দিয়েও কামড়ায়। মিজ অবশ্য শুধু ত্বকের উপরে হামলা করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *