চলতি মাসের ১৯ এপ্রিল ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভোট হতে যাচ্ছে। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে সাত দফায়। ভারতের যে তিন রাজ্যে সাত দফাতেই ভোট নেয়া হচ্ছে, তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ অন্যতম। এছাড়া উত্তরপ্রদেশ ও বিহারেও সাত দফায় ভোট হবে এবারের নির্বাচনে।
সে হিসেবে ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় উত্তরপ্রদেশে ৮ আসন, বিহারের ৪ আসন এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ৩ আসনের ভোট শুরু হবে। তবে, মহারাষ্ট্র দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লোকসভা আসনের রাজ্য হলেও সেখানে ভোট নেয়া হচ্ছে ৫ দফায়।
এদিকে, ৫৪৩ আসনের লোকসভায় বিজেপি এবার দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছে। ক্ষমতাসীন এনডিএ জোটের নেতা ভারতীয় জনতা পার্টি এককভাবে এবার ৩৭০ আসনের টার্গেট নিয়ে এগুচ্ছে। আর জোটগতভাবে তাদের লক্ষ্য ৪০০ আসন। গেলোবার বিজেপি-এনডিএ জোট ৩০৩ আসন পেয়েছিল, যেখানে লক্ষ্য ছিল ৩০০ আসন। অর্থাৎ, ২০১৯ সালের চেয়ে এবার ১০০টি আসন বেশি পেতে চাইছে জোট।
উত্তরপ্রদেশে রাম মন্দির উদ্বোধনের মধ্যদিয়েই বিজেপি তাদের প্রধান প্রচারণা চালিয়েছে বলে মনে করা হয়। আর রাজ্য সরকারও বিজেপি। রয়েছেন যোগী আদিত্যনাথের মতো বুলডোজার চালানোর হুমকি দেয়া মুখ্যমন্ত্রী। বিহারের দিকেও গেরুয়া শিবিরের তীক্ষ্ণ প্রচার কৌশল। সেখানেও রাজ্য সরকারে এনডিএ। এছাড়া বন্ধু নীতিশ কুমার পুরোপুরি গেরুয়া শিবিরকে সমর্থন করবে বলেও মনে করে রাজনৈতিক মহল। মহারাষ্ট্রেও বিজেপি ক্ষমতায়, তাই বাড়তি সুবিধা নিশ্চিত বলা যায়।
প্রথম দফা ভোটের তালিকায় আছে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার। গেলো নির্বাচনে এ তিন জেলাতেই গেরুয়া শিবিরকে ভোট দিয়েছিল সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটাররা। তাই এ তিন আসনের গেরুয়া শিবির এবারও জয়ের আশা করছে। আর সেই লক্ষ্যেই পশ্চিমবঙ্গজুড়ে ১৫টি প্রচারণা শেষ করবেন নরেন্দ্র মোদি। প্রচারণা চালাবেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিং জেপি নাড্ডার মতো হাইপ্রফাইল নেতৃত্বও।
