বিশ্বে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে: জাতিসংঘ

বিশ্বে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে: জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক স্লাইড

জুন ১৪, ২০২৩ ১২:৪৬ অপরাহ্ণ

বিশ্বজুড়ে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা পৌঁছেছে ১১ কোটিতে। যুদ্ধ-সংঘাতের কারণে লাখ লাখ মানুষ বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

ইউএনএইচসিআর বুধবার তাদের সবশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত বছর রেকর্ড সংখ্যক মানুষ বাস্তুহারা হয়েছে। প্রায় এক কোটি ৯০ লাখ মানুষ নিজ দেশ এবং বাড়ি-ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার প্রধান ফিলিপো গ্র্যান্ডি বলেন, আট সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা সুদানের সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে এবং তা কমপক্ষে ১১ কোটিতে উন্নীত হয়েছে।

জেনেভায় আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে তিনি বলেন, এটি বিভিন্ন রাষ্ট্রের ওপর একটি অভিযোগের বিষয় যা প্রকাশ করা উচিত।

তিনি আরো বলেন, সামগ্রিক পরিসংখ্যানে এমন ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন যারা তাদের নিজের দেশের মধ্যে নিরাপত্তা খুঁজছেন। সেই সঙ্গে যারা সীমান্ত অতিক্রম করেছেন তারাও রয়েছেন।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোট সংখ্যার ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশই শরণার্থী এবং আশ্রয়প্রার্থী।

ফিলিপো গ্র্যান্ডি বলেন, এই সমস্যার সমাধানের বিষয়টি কল্পনা করা এমনকি এ নিয়ে আলোচনা করাটাও দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে। বলা যায় আমরা এমন একটি বিশ্বের আছি যেখানে নানা রকম দ্বন্দ্ব রয়েছে। যেখানে আন্তর্জাতিক সমস্যাগুলো ব্যক্তি পর্যায়ে প্রভাব ফেলছে।

তিনি বলেন, ২০১১ সালে সিরিয়া সংঘাতের আগে উদ্বাস্তু এবং অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ছিল প্রায় ৪ কোটি মানুষ। প্রায় ২০ বছর ধরে এই সংখ্যা অনেকটাই স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু তারপর থেকে প্রতি বছরই এই সংখ্যাটা বেড়েই চলেছে।

সংঘাত, নিপীড়ন, বৈষম্য, সহিংসতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো সমস্যাগুলো বেশি লোককে বাস্তুচ্যুত করার জন্য দায়ী বলে মনে করেন গ্র্যান্ডি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মোট শরণার্থী এবং যাদের আন্তর্জাতিক সুরক্ষা প্রয়োজন তাদের প্রায় অর্ধেক মাত্র তিনটি দেশ থেকে এসেছে। দেশগুলো হলো- সিরিয়া, ইউক্রেন এবং আফগানিস্তান।

২০২২ সালের শেষের দিকে প্রায় ১ কোটি ১৬ লাখ ইউক্রেনীয় নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ে। এর মধ্যে দেশটির অভ্যন্তরে প্রায় ৫৬ লাখ এবং দেশের বাইরে প্রায় ৫৭ লাখ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৩০০ শরণার্থী নিজ দেশে ফিরতে পারেনি। এর মধ্যে এক লাখ ১৪ হাজার ৩০০ শরণার্থীকে তৃতীয় কোনও দেশে পুনর্বাসিত করা হয়। ২০২১ সালের তুলনায় এই সংখ্যা দ্বিগুণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *