স্বাস্থ্য ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের দাপট কমতে শুরু করেছে। ডেলটা ও ওমিক্রন ধরনের প্রতিরোধে টিকার বুস্টার ও চতুর্থ ডোজ অনেক দেশে দেওয়া শুরু হয়েছে। ফলে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। তবে গত কয়েকদিনে মৃত্যু-আক্রান্ত ওঠানাম করছে।
শুক্রবার (২৭ মে) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪২৭ জনের, যা আগের দিনের চেয়ে কিছুটা কম। এছাড়া এ সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৫ লাখ ৬৭ হাজার ২৪০ জন।
এর একদিন আগে বৃহস্পতিবার (২৬ মে) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে মারা যান এক হাজার ৬৩০ জনের। এ ছাড়া নতুন করে সংক্রমিত হন ৫ লাখ ৮৮ হাজার ৪৩১ জন।
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩ কোটি ৩ লাখ ১৩ হাজার ২৯৪ জন। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ লাখ ৭ হাজার ৭৮১ জন। আর মোট সুস্থ হয়েছেন ৫০ কোটি ৭ লাখ ৯২ হাজার ৪৬ জন।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের সংখ্যা প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটার থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার ৭৫৫ জন। এ ছাড়া মোট মৃত্যু হয়েছে ১০ লাখ ৩০ হাজার ৭৭৫ জনের।
আক্রান্তে দ্বিতীয় এবং মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় ৪ কোটি ৩১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩ জন সংক্রমিত হয়েছেন। দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫ লাখ ২৪ হাজার ৫২৫।
আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত মোট সংক্রমিত ৩ কোটি ৮ লাখ ৮০ হাজার ৫১২ জন এবং মোট মারা গেছেন ৬ লাখ ৬৬ হাজার ২৪৮ জন।
তালিকার চতুর্থ অবস্থানে থাকা ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৪৩ হাজার ৬০৫ জন। আর সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ১ লাখ ৪৮ হাজার ৮৪ জন।
তালিকার পঞ্চম অবস্থানে থাকা জার্মানিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ৬২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৪১ জন। অন্যদিকে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ১১৫ জন।
এছাড়া তালিকায় যুক্তরাজ্য ষষ্ঠ, রাশিয়া সপ্তম, দক্ষিণ কোরিয়া অষ্টম, ইতালি নবম ও তুরস্ক দশম অবস্থানে রয়েছে। এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৪৩তম।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করা হয়।