রাশিয়ার তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলা

আন্তর্জাতিক স্লাইড

জুন ২৩, ২০২২ ১০:২৩ পূর্বাহ্ণ

রাশিয়ার রোস্তভ অঞ্চলে একটি তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। বুধবার (২২ জুন) ইউক্রেন সীমান্তে অবস্থিত ওই শোধনাগারে হামলার পর এতে আগুন ধরে যায়। এর ফলে অল্প কিছুক্ষণের জন্য এর কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। শোধনাগার ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্টদের বরাতে এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।

রাশিয়ার গণমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, রোস্তভ অঞ্চলের ওই শোধনাগারে পরপর দুটি ড্রোন আঘাত হানে। ড্রোন হামলার পর তেল শোধনাগারটিতে আগুন ধরে গেলে অগ্নিনির্বাপক দল দ্রুতই আগুন নিভিয়ে ফেলে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। ইউক্রেন থেকে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

আল জাজিরা জানায়, নভোশাখতিনস্ক ওয়েল রিফাইনারি নামের ওই শোধনাগারে প্রথম হামলার ঘটনাটি ঘটে বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে। শোধনাগারের ক্রুড ডিসটিলেশন ইউনিটে আঘাত হানায় বিস্ফোরণ হয় এবং আগুনের কুণ্ডলি তৈরি হয়।

এরপর দ্বিতীয় হামলার ঘটনা ঘটে ৯টা ২৩ মিনিটে। এবার টার্গেট করা হয় শোধনাগারের ওয়েল রিফাইনারি রিজার্ভার। তবে এতে কোনো বিস্ফোরণ ঘটেনি বা আগুন ধরেনি। এ ঘটনায় কেউ হতাহতও হয়নি।

তেল শোধনাগারটি এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে। শোধনাগারের প্রযুক্তিগত স্থাপনায় দুটি ড্রোন ওই হামলা চালায় বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

ড্রোন হামলার পর রোস্তভ অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি গোলুবেভ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টেলিগ্রামে লিখেছেন, ড্রোন হামলার কারণে শোধনাগারে আগুন ধরে যায়। শোধনাগারের কাছ থেকে দুটি ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। হামলার ঘটনা তদন্ত করার জন্য শোধনাগারের কাজকর্ম আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজ থেকে দেখা যায়, একটি ড্রোন তেল শোধনাগারের দিকে ধেয়ে আসছে এবং পূর্ণ গতিতে শোধনাগারে আঘাত করে। এরপরই সেখানে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় এবং আগুন ধরে যায়। লুহানস্ক প্রজাতন্ত্রের সীমান্ত থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে এই ঘটনা ঘটে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপর ইউক্রেন সীমান্তবর্তী রুশ ভূখণ্ডে বেশ কিছু হামলার ঘটনা ঘটে। এসব হামলার জন্য সরাসরি ইউক্রেনকে দায়ী করে মস্কো। তবে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি কিয়েভ।

এবার যে তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে, সেটা ইউক্রেন সীমান্ত থেকে অন্তত ৮ কিলোমিটার দূরে। আগের মতো হামলা নিয়ে এবারও কোনো মন্তব্য করেনি ইউক্রেন কর্মকর্তারা। এদিকে হামলার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছেন রুশ কর্মকর্তারা।

নভোশাখতিনস্ক তেল শোধনাগারটি ২০০৯ সালে চালু করা হয়। এখানে প্রতি বছর ৭৫ লাখ টন তেল শোধন করা হয়। ড্রোন হামলার কয়েক ঘণ্টা পর রুশ জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের পরও গ্যাস ও তেল সরবরাহে কোনো প্রভাব পড়েনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *