প্রতি চ্যাটে আধা-লিটার পানি খরচ করে চ্যাটজিপিটি। এ খবর শুনে অবাক পরিবেশবিদরা। তাদের মতে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) এর প্রভাবে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বের অনেক দেশ এরই মধ্যে পানি সংকটে ভুগছে। যেখানে এক গ্লাস পানি সহজে পাওয়া দুর্লভ সেখানে প্রতি কথোপকথনে ৫০০ মিলিলিটার পানি খরচ করছে চ্যাটজিপিটি।
সম্প্রতি একটি গবেষণায় চ্যাটজিপিটি প্রশিক্ষণের পেছনের শক্তি খরচ বের করা হয়েছে। মেকিং এআই রেস থার্স্টি নামে একটি পেপারে প্রকাশ করা হয় সেই তথ্য।
গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মাইক্রোসফট স্টেট অফ দ্য আর্ট ডেটা সেন্টারে চ্যাটজিপিটি প্রশিক্ষণের পেছনে ৭,০০,০০০ লিটার পানি খরচ হয়। এই সংখ্যা এশিয়ার ডেটা সেন্টারগুলোতে তিনগুণ বেশি।
সাধারণত একটি প্রশিক্ষণের টুল চ্যাটজিপিটি। যাকে একাধিক বিষয়ে ট্রেনিং দেওয়া হয়। এটি করার জন্য গড়ে উঠেছে বড় বড় ডেটা সেন্টার। যেখানে প্রশিক্ষণের মডেলগুলো সংরক্ষণ করা হয়। এই ডেটা সেন্টারগুলোর সার্ভার পরিচালনা করার জন্য দরকার পড়ে বিপুল শক্তি।
এসব করার জন্য পর্যাপ্ত কুলিং সিস্টেম এবং শক্তি নির্ভর কম্পিউটিং ব্যবস্থার প্রয়োজন পড়ে। এগুলো চালু রাখতে যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয় তা উৎপাদন করা হয় পানির মাধ্যমে। কারণ উচ্চ শক্তি এবং পর্যাপ্ত কুলিং সিস্টেম না থাকলে হার্ডওয়্যারগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না।