পুরান ঢাকায় সাকরাইনের আমেজ

পুরান ঢাকায় সাকরাইনের আমেজ

দেশজুড়ে স্লাইড

জানুয়ারি ১৩, ২০২৩ ৯:১৭ পূর্বাহ্ণ

প্রতি বছরের মতো এ বছরও পুরান ঢাকার অলিগলিতে চলছে ঐতিহ্যবাহী উৎসব সাকরাইন বা পৌষসংক্রান্তির প্রস্তুতি। এ উৎসবে রঙ-বেরঙের ঘুড়িতে ছেয়ে যায় পুরান ঢাকার আকাশ। শনিবার (৩০ পৌষ) ঢাকার আকাশে উড়বে রঙ-বেরঙের ঘুড়ি। আর তা নিয়ে ছোট-বড় সবার মাঝে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।

সাকরাইন সামনে রেখে পুরান ঢাকার শাঁখারিবাজারে চলছে ঘুড়ি ও অন্য উপকরণ (ঘুড়ি, নাটাই, সুতো) বিক্রির উৎসব। ক্রেতাদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো। ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতি বছর সাকরাইনে লক্ষাধিক ঘুড়ি বিক্রি করেন। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে কোটি টাকার ঘুড়ি, নাটাই ও সুতো বিক্রি হয়।

চশমাদার, কাউটাদার, পঙ্খিরাজ, প্রজাপতি, চক্ষুদার, ঈগল, সাদা ঘুড়ি, চারবোয়া, দুই বোয়া, টেক্কা, লাভ ঘুড়ি, ৩ টেক্কা, মালাদার, দাবা ঘুড়ি, বাদুর, চিল, অ্যাংরি বার্ডসহ নানা নামে ঘুড়ি বিক্রি হচ্ছে শাঁখারিবাজারে। এছাড়া এবার আমির খান, শাহরুখ খানসহ অনেক সুপার স্টার-কিংবদন্তির ছবিসহ ঘুড়ি উড়বে ঢাকার আকাশে।

শাঁখারিবাজারে সাধারণ ঘুড়ি ৮-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিদেশি ও নকশা করা ঘুড়ি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-৩৫০ টাকায়। নানা রকমের বাটিওয়ালা, মুখবান্ধা, লোহা নাটাই, কাঠের নাটাই, চাবাডী নাটাই বিক্রি হচ্ছে ১৫০-৮০০ টাকায়। ড্রাগন সুতা, ভূত সুতা, বিলাই সুতোসহ ঘুড়ি ওড়ানোর বিভিন্ন ধরনের সুতা বিক্রি হচ্ছে ১৫০-৫০০ টাকায়।

শাঁখারিবাজারের নিখিল চন্দ্র বলেন, সাকরাইনকে সামনে রেখে ভালোই বেচাকেনা চলছে আমাদের। ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা এখানে আসেন ঘুড়ি কিনতে। আমাদের দোকানে ৮-১০ রকমের ঘুড়ি রয়েছে। ঘুড়ির সঙ্গে নাটাই, সুতাও ভালোই বিক্রি হচ্ছে।

লালবাগ থেকে ঘুড়ি কিনতে আসা ইমরান ও তার বন্ধু সাইদ বলেন, প্রতি বছর সাকরাইন এলেই আমরা সবাই মিলে ঘুড়ি কিনতে এখানে আসি। এখানে সব রকমের ঘুড়ি পাওয়া যায়।

শনিবার সকাল থেকে শুরু হবে ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন। মহাভারতে যেটাকে মকরক্রান্তি বলা হয়। দিনভর ঘুড়ি উড়ানোর পাশাপাশি সন্ধ্যায় বর্ণিল আতশবাজি ও রঙ-বেরঙের ফানুসে ছেয়ে যাবী বুড়িগঙ্গা তীরবর্তী শহরের আকাশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *