পিইসি-জেএসসি পরীক্ষার ভুয়া খবর ফেসবুকে, যা বলছে শিক্ষাবোর্ড

পিইসি-জেএসসি পরীক্ষার ভুয়া খবর ফেসবুকে, যা বলছে শিক্ষাবোর্ড

শিক্ষা স্লাইড

জানুয়ারি ২০, ২০২৪ ১১:১৭ পূর্বাহ্ণ

শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে থামছে না অপপ্রচার। এসএসসির ভুয়া রুটিন, এইচএসসির বিভ্রান্তিকর সিলেবাসের পর এবার পিইসি ও জেএসসি নিয়ে ছড়ানো হচ্ছে গুজব। চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে বোর্ডের নামে ভুয়া ফেসবুক পেজসহ নানা গ্রুপ ও আইডিতে ছড়ানো হচ্ছে গুজব। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়ে বোর্ড বলছে, নতুন কারিকুলামে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পাবলিক পরীক্ষার সুযোগ নেই।

গেল বছর থেকে হচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা। তবে আবারো এই দুই পরীক্ষা চালু হবে বলে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি, গ্রুপ থেকে শুরু করে খোদ বোর্ডের নামে ভুয়া পেজ খুলে চলছে প্রচারণা। তবে বোর্ডের ওয়েবসাইট বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে নেই এই ধরনের কোনো বিজ্ঞপ্তি।

এসবে বিভ্রান্ত না হতে অনুরোধ জানিয়েছে পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে কোনো পাবলিক পরীক্ষার সুযোগ নেই বলে জানায় শিক্ষাবোর্ড।

বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, একটা পরিপত্রের মাধ্যমে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পাবলিক পরীক্ষা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এখন একটা নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের কাজ চলছে। ফলে এই সময়ে এসে ওই পরীক্ষা নেয়ার আর কোনো সুযোগ নেই। সরকারও নতুন কোনো পরিপত্র জারি করেনি। যারা এসব ছড়াচ্ছে সবই গুজব।

এসময় তিনি গুজবে কান না দিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানান।

এর আগেও চলতি বছরের আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার রুটিন ও এইচএসসি সিলেবাস নিয়ে বোর্ড চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়। পরীক্ষা নিয়ে ধারাবাহিক গুজব ও অপপ্রচারে জড়িতদের শনাক্ত করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় সাব কমিটি।

কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, সংশ্লিষ্ট আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এবং বিটিআরসিকে চিঠি দেয়ার পাশাপাশি টেলিফোনে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানানো হয়েছে। আমরা তাদের বলেছি, যারা এসব গুজব ছড়াচ্ছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে। এ কাজ চলমান আছে।

লাখ লাখ শিক্ষার্থীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এসব পাবলিক পরীক্ষা। এর আগে গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তবে এবার এদের অপতৎপরতা রোধে উদ্যোগী হয়েছে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *