মোঃ আব্দুল হান্নানঃ-
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুলিকুন্ডা গ্রামের শিশু রনি উরুপে ছোটন হত্যা মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদের বিরোদ্ধে আদালতে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে নাসিরনগর সদরে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০ জুলাই ২০২৩ রোজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নাসিরনগর সদরে শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ২৮ ফেব্রুয়ারি ওরসে যাওয়ার কথা বলে প্রতিবেশী রিফাত মিয়া (১৩) ও লিটনের (১৭)এর সঙ্গে বাড়ি থেক বের হয় রনি। রনির সঙ্গে থাকা একটি মোবাইল ফোনের জন্য তাকে হত্যা করে লাশ পুকুরে ডুবিয়ে রাখে তারা। পরে ঘটনার তিন দিন পর আটককৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গোকর্ণ ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের মাঠের একটি পুকুর থেকে শিশু ছোটনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ৩ জনকে আসামী করে ২ মার্চ নাসিরনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত রনির মা ছুলেমা বেগম। তাদের গ্রেফতারের পর ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্ধী ও দেন আসামীরা। ২৬ জুন আসামীদের বাচাঁতে বাদী, স্বাক্ষীসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে লুটপাটের একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন আসামী রিফাতের বড় ভাই আলমগীর মিয়া। তাছাড়াও আদালতে না যাওয়ার জন্য দেওয়া হচ্ছে হুমকি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কে মামলাটি তদন্তপূর্বক আদালতে প্রতিবেদন প্রেরণের নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী, নিহত রনির মা ছুলেমা বেগম জানায়,তারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। হত্যার পর তারা দায় স্বীকার করে আাদালতে জবানবন্ধীও দিয়েছে। ছেলে হত্যা করেছে আবার উল্টো আমার ও মামলার স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে তারা মিথ্যা মামলাও করেছে। হত্যা মামলার বাদীনি ছুলেমা বেগম জানায়, রিফাতের মামা সরাইল উপজেলার কুট্টপাড়ার বাসিন্দা আলাল মিয়া হুমকি দিচ্ছে আদালতে গেলে আমাদের মেরে লাশ গুম করে ফেলবে। রনি হত্যা মামলার স্বাক্ষী রাসেল মিয়া বলেন, আসামীরা আমাকে হুমকি দিচ্ছে স্বাক্ষী না দেওয়ার জন্য। আদালতে যেতে চাইলে সরাইল বিশ্বরোড পার হবার আগেই গুম করার হুমকি দিচ্ছে আসামীর মামা আলাল।
আসামীদের করা মামলারবাদী আলমগীর মিয়া জানান, আমরা কাউকে হুমকি দেয়নি। আমাদের বিরুদ্ধে করা এসব মিথ্যা অভিযোগ করছে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, ওরসে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিশুটি। পরে রনির মরদেহটি একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। আসামীদের গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। তদন্তেই বের হবে সত্য ঘটনা কি, কোন ধরনের মিথ্যা মামলা দিয়ে কাউকে হয়রানি করার সুযোগ বলেও দাবী করেন এ কর্মকর্তা।