ঝিনাইগাতীতে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১ গ্রেপ্তার ৩

দেশজুড়ে

এপ্রিল ১২, ২০২৪ ২:৫২ অপরাহ্ণ

ঝিনাইগাতী (শেরপুর) সংবাদদাতা

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে পুর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় এমদাদুল হক মিলন (৪২) নামে এক মাইক্রো ড্রাইভার নিহত হয়েছে। এঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৩ জন। ঘটনাটি ঘটে ১০ এপ্রিল বুধবার রাতে উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের ঘাগড়া সরকার পাড়া গ্রামে। নিহত এমদাদুল হক ওই গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান , গত প্রায় ১ মাস পুর্বে একই গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম বেবিনের নেতৃত্বে তার লোকজন এমদাদুল হক মিলনের বাড়ির সামনে সাউন্ড সিস্টেম বাজিয়ে এক পিকনিকের আয়োজন করে। এসময় এমদাদুল হক অল্প সাউনে সাউন্ড সিস্টেম বাজানোর জন্য অনুরোধ করে। এনিয়ে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এঘটনাকে কেন্দ্র করে মঞ্জুরুল ইসলাম বেবিন তার জমির উপর এমদাদুল হক মিলনের বাড়ির সামনে বেড়া দিয়ে এমদাদুল হকের পরিবারের যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বরাজ করছিল। বুধবার রাত ৮ টায় এমদাদুল হক মিলন ও তার ছোট ভাই হাসর আলী স্থানীয় তেঁতুলতলা বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির সামনে ঈদগাহ মাঠের পাশে উৎপেতে বসে থাকা মঞ্জুরুল ইসলাম বেবিনের নেতৃত্বে প্রায় ২৫ জনের একটি দল লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের উপর আক্রমন করে। এ-সময় এতে এমদাদুল হক মিলন, ইয়াদাত (৪৪) হাসর আলী ও নিরব আহত হয় । স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এমদাদুল হকের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকগন। বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। অন্যান্যরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এব্যাপারে নিহতের স্ত্রী লাবনী আক্তার বাদি হয়ে ১৫জনের নামে ও অজ্ঞাত নামা ১০ জনকে আসামী করে বুধবার রাতেই থানায় একটি মামলা দায়ের করে। অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই রাতেই অভিযান চালিয়ে মঞ্জুরুল ইসলাম বেবিনকে আটক করে থানা পুলিশ। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ বাদল বলেন গ্রেপ্তারকৃত আসামী মঞ্জুরুল ইসলাম বেবিনকে আজ বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ্দ করা হয়েছে। অপরদিকে ঘটনার সাথে জরিত থাকার অভিযোগে ছালাম ও সাদা মিয়া নামে আরো দুইজনকে বিকালে জেলা সদর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *