নাসিরনগরে ধর্মীয় শিক্ষক সহ ৬ জনের বিরোদ্ধে মিথ্যা ডাকাতির মামলা

দেশজুড়ে

মে ৫, ২০২৩ ১২:৪০ অপরাহ্ণ

মোঃ আব্দুল হান্নান,

ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নাসির নগর উপজেলার সাবেক ফান্দাউক মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার ও বর্তমানে কুন্ডা উচ্চবিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক বুড়িশ্বর ইউনিয়নের ভোলাউক বাসিন্দা মাওলানা জসিম উদ্দিন সহ গ্রামের আরো নিরীহ ৬ জনের বিরোদ্ধে জসিমের আপন বড় ভাই নুর উদ্দিনের স্ত্রী মোছাঃ জাহানারা বেগম বাদী হয়ে ৫ ই এপ্রিল ২০২৩ তারিখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সি,আর মামলা নং -১৭৯/২৩ দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

বাদীনি তার মামলায় উল্লেখ করেন, আসামীগনের সুনির্দিষ্ট কোন পেশা না থাকায় তারা ঘটনাস্থল সহ আশেপাশের এলাকায় চুরি ডাকাতি করে জীবিকা নির্বাহ করে। ৬নং আসামী মাওলানা জসিম উদ্দিন সকল আসামীদের অপকর্মের গড ফাদার হিসাবে কাজ করে এবং আসামীদের বিরুদ্ধে চুরি ছিনতাইয়ের মামলা মোকদ্দমা হইলে তাদেরকে তদবির করে জামিনে মুক্তি করে নিয়ে আসেন। তিনি আরো উল্লেখ করেন আসামী মাওলানা জসিম উদ্দিনের সহযোগীতার কারণে অন্যান্য আসামীরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে সাধারণ মানুষের প্রতি অত্যাচার নির্যাতন এবং গ্রাম সহ আশেপাশের এলাকায় ও বিভিন্ন সময় রাতের বেলায় রাস্তায় গাড়ী আটকাইয়া চুরি ছিনতাই ও ডাকাতি করে থাকে। আসামীদের বিরুদ্ধে নাসিরনগর থানা সহ আশেপাশের বিভিন্ন থানায় চুরি ছিনতাই, ডাকাতি, ডাকাতির প্রস্তুতি সহ বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা চলমান আছে।

এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকে এলাকায় চলছে নানা আলোচনা সমালোচনার ঝড়। জসিম ধর্মীয় শিক্ষক ছাড়াও তিনি ঐতিহ্যবাহী ফান্দাউক দরবার শরীফের মোবাল্লিক ও ফান্দাউক মদিনাতুল উলুম আলিম মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক এবং বর্তমানে কুন্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ে ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষক মাও ক্বারী জসিম উদ্দিনকে নিয়ে। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি দারুল কেরাত মাজিদিয়া ফুলতলী ট্রাষ্টের খামিছ জামাতের পরিক্ষকও বটে। এমন একজন ব্যক্তির উপর এমন মামলা দায়ের করায় সমস্ত গ্রামবাসী সহ আশপাশ এলাকা ও নাসির নগর উপজেলার সচেতন মহল ও আলেম উলামাদের মাঝে চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। মাও ক্বারী জসিম উদ্দিন শুধু শিক্ষকতাই করেন না এসাথে তিনি স্হানীয় একটি মসজিদের জুম্মা নামাজ পড়ানোর ইমামের দায়িত্বও পালন করে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে সরজমিনে এলাকায় গিয়ে মামলায় জসিম হুজুরকে আসামী করার কারন জানতে চাইলে বাদীনি জানায় ডাকাতির সময় রাত ৩ ঘটিকার জসিম বারান্দায় দাড়িয়ে ছিল। অথচ বাদীনির স্বামী মোঃ নুর উদ্দিন বলেন জসিম হুজুর এ দিন বিকালে বাড়িতে এসে সবাইকে ডাকাতি করার জন্য নির্দেশ দিয়ে চলে যায়।গ্রামের সুরব্বি অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী,সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ শিরু মিয়া গ্রাম পুলিশ মোঃ আব্দুল আওয়াল,ইউপি সদস্য মোঃ ইলিয়াছ মিয়া স্থানীয় মসজিদের ইমাম সহ আশপাশের শত শত নারী পুরুষ জানায় ভোলাউক গ্রামে এ ধরনের কোন চুরি ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি।জমি থেকে পানি নিস্কাশনের রাস্তা নিয়ে দু পক্ষের মাঝে ঝগড়া হয়েছে।জসিম হুজুরের বিরোদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা তারা অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।এলাকাবাসী জানায় জাহানারা বেগম খুব ভয়ংকর প্রকৃতির মহিলা ।ঐ মহিলার বিরুদ্ধে কোন ব্যক্তি মুখ খুলতে সাহস পায় না।

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে আসামী জসিম হুজুর মামলাটি সঠিক তদন্ত পূর্কব প্রয়োনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সহ মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সুবিচার দাবী করেন।

মুঠোফোনে এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের ইন্সপেক্টর মোঃ রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম চলছে। প্রকৃত সত্য উদঘাটন করেই আদালতে চার্জসীট দেয়া হবে।ঘটনার সাথে জড়িত না থাকলে কোন লোককে অন্যায় ভাবে ফাঁসানো সম্ভব হবে না।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *