মাহফুজুর রহমান সোহাগ, নালিতাবাড়ী (শেরপুর)
২য় শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থীকে মারধর, বই-পুস্তক রেখে বিদ্যালয় থেকে তাড়িয়ে দেওয়া এবং অভিভাবক এর কৈফিয়ত চাওয়ায় অভিভাবকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করায় গত ৫ মার্চ শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার কৃষ্ণপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের বিরোদ্ধ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিশু শিক্ষার্থীর বাবা কিল্লাপাড়া গ্রামের কৃষক হারুনুর রশিদ।
এদিকে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা হিমেল রিসিল অভিযোগটি তদন্তের জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট পাঠায়। পরে এটি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রশিদা বেগম সহকারী শিক্ষা কর্মকতা গোলাম রাব্বানি কে গত ৩০ মার্চ দায়িত্ব দিয়ে বিদ্যালয়ে তদন্তের জন্য পাঠায়। গত ৫ এপ্রিল, বুধবার এ বিষয়ে সাংবাদিকরা খোজ খবর নিলে তদন্ত রিপোর্ট এখনও তৈরি এবং এ বিষয়ে এখনও সিন্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকতার্ উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার গোলাম রাব্বানী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৫মার্চ প্রতিদিনের মত শিশু শিক্ষার্থী শান্তি (৭) বই খাতা কলম নিয়ে স্কুলে যায়। যথারীতি ক্লাস শুরু হলে আরেক শিক্ষার্থীর সাথে কলম নেওয়ার কারনে শান্তির সমস্যা হয়। এসময় সহকারী শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন কে কলমটি নিয়ে দেওয়ার জন্য বললে উল্টো শান্তির বিরোদ্ধে কলম নেওয়ার অভিযোগ তুলে শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন। এ নিয়ে শান্তি প্রতিবাদ করলে শান্তিকে গলায় চিপে ধরে টেনে ক্লাস রুম থেকে বাহির করে দেয় এবং এবং বলে এটি তোর বাপের স্কুল নয় বলে শিশু শিক্ষার্থী শান্তি জানায়। পরে শান্তি কান্নাকাটি করে বাড়িতে গিয়ে মাকে বললে মা উম্মে কুলছুম স্কুলে এসে দেলোয়ার কে প্রশ্ন করলে শিক্ষক দেলোয়র ব্যাপক উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বিদ্যালয় হতে মাকে বাহির করে দেয়। পরে জমি দাতা এলাকাবাসী নুরুল আমিন ও হাজী হাতেম আলী বিষয়টি নিয়ে কথা বললে তাদের সাথেও অসৌজন্য মূলক অসদ আচরন করেন শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন। এদিকে একই স্কুলের ২য় শ্রেনীর শিক্ষার্থী মাহিয়া নামের শিশূর সাথেও এমন আচরন করছেন বলে শিশু মাহিয়া জানায়।
জমি দাতা ও এলাকাবাসী নুরুল আমিন (৬৫) বলেন, বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক দেলোয়র বেশি বাড়াবাড়ি করেছেন। সে আমাদের সাথেও অসদ আচরন করেছেন এবং ইতি পূর্বেও অন্য শিশুদের সাথেও সে এরকম আচরন করেছেন। তার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
সহকারী শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি দুই শিশুর বিবাদে শিশুদের শাসন করেছি মাত্র। এই নিয়ে অভিভাবকরাও আমার প্রতি ক্ষিপ্ত। ভুল বিষয়টি ব্যাপারে আমি ভুল স্বীকার করছি। আমি অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলব।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকতার্ গোলাম রাব্বানী বলেন, আমি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করছি। অতি শীগ্রই তদন্ত রিপোর্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দেওয়া হবে।