রেল লাইনে বসছে বাজার, বাড়ছে দুর্ঘটনা

দেশজুড়ে

মার্চ ৪, ২০২৩ ৮:৩০ অপরাহ্ণ

পবিত্র দাস ( নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি) :

রেললাইনে ১৪৪ ধারা নামে মাত্র! ময়মনসিংহ নগরের মাঝ বরাবর চলে গেছে একের অধিক রেলপথ। যার দুই মাসে নিয়ম করেই সকাল বিকাল বসছে বাজার। ফলশ্রুতিতে প্রতিনিয়ত কাটা পড়ছে মানুষ ঘটছে প্রাণহানি।
রেললাইনের দুইপাশে ১০ ফুট করে ২০ ফুট এলাকায় হরহামেশাই ১৪৪ ধারা জারি থাকে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে আইন অনুযায়ী, এই সীমানার ভেতর কাউকে পাওয়া গেলে তাকে আইনের ১০১ ধারায় গ্রেফতার করা যায়। এমনকি এই সীমানার ভেতরে গবাদি পশু চরলে আটক করে তা বিক্রি করে সেই অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার বিধানও রয়েছে। কিন্তু এ আইন প্রতিনিয়তই ভঙ্গ করছেন পথচারীরা। তাই প্রতিনিয়তই ঘটছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
রেললাইনে বসছে বাজার, রেললাইন ঘেঁষে গড়ে উঠেছে বস্তি, চলছে মানুষের আড্ডা। কানে ফোন গুঁজে কথা বলা কিংবা রেললাইন ধরে হেঁটে চলাও নিত্তনৈমিত্তিক ঘটনা। এ কারণে প্রায়ই মানুষ ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যাচ্ছে৷ সরেজমিন দেখা যায়, ময়মনসিংগ নগরের সানকিপাড়া , নতুন বাজার, আকুয়া মোড় এলাকায় রেললাইনের পাশেই অবৈধ বাজার ও দোকান গড়ে উঠেছে।এখানে রেললাইন পার হতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন মানুষ। অনেকে পথের দূরত্ব কমাতে রেললাইনকে হাঁটার পথ হিসেবে ব্যবহার করছেন। নগরের বিভিন্ন ক্রসিংসহ বিভিন্ন এলাকায় রেললাইনের ওপরে বসে গল্প করার দৃশ্য দেখা গেছে। এছাড়া রেলস্টেশন এলাকায় ওভারব্রিজ থাকা সত্ত্বেও কেউ তা ব্যবহার করছেন না। রেললাইনের ওপর দিয়েই তারা গন্তব্যে যাচ্ছেন। রেললাইনে জারি থাকা ১৪৪ ধারা সম্পর্কে জানেনই না পথচারীরা। রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে এসব বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিট পুলিশিং কার্যক্রম চললেও তা কাজে আসছে না।
জাকারিয়া পারভেজ নামে এক পথচারী বলেন, রেললাইনে ১৪৪ ধারা জারির বিষয়টি বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালিয়ে জানিয়ে দেওয়া জরুরি। শুধু নথিতেই আইন সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না, তার ন্যূনতম প্রয়োগও দরকার। এই ধারা প্রয়োগ করা হোক, নাহলে বাতিল করা হোক। এভাবে ১৪৪ ধারাকে অপমানিত করার কোনও মানে হয় না। নিরাপদ ট্রেন চলাচলের পরিবেশ তৈরি করা না হলে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘই হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *