সোহরাওয়ার্দী কলেজে উদযাপিত হয়েছে শেখ রাসেলের জন্মদিন

দেশজুড়ে

অক্টোবর ১৯, ২০২২ ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ

সোহরাওয়ার্দী কলেজ প্রতিনিধিঃ 

আজ মঙ্গলবার(১৮ ই অক্টোবর) সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ অফিসার্স কাউন্সিলের আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের এই দিনে ধানমন্ডির ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার শত্রু ঘৃণ্য ঘাতকদের নির্মম বুলেট থেকে রক্ষা পাননি শিশু শেখ রাসেল। বঙ্গবন্ধুর সাথে নরপিশাচরা নির্মমভাবে তাকেও হত্যা করেছিল। তিনি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত বছর থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। শেখ রাসেল জাতীয় দিবসের এবারের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক।’
অত্র কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ এবং অফিসার্স কাউন্সিলের পক্ষ থেকে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এরপর, রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে ক্যাম্পাসে প্রতীকী বৃক্ষরোপনেরও আয়োজন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহসীন কবির, উপাধ্যক্ষ ফরিদা ইয়াসমিন এছাড়াও উপস্থিতি ছিলেন কলেজে শিক্ষক শিক্ষার্থী কর্মকর্তা কর্মচারি।
এছাড়াও ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে ‘শেখ রাসেল দেয়ালিকার’ উদ্বোধন করা হয়। যেখানে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সৃজনশীল চিন্তা-চেতনায় ফুটে ওঠে শেখ রাসেলের জীবনী।
পরবর্তীতে, বেলা ১১ ঘটিকায় অত্র কলেজের অফিসার্স কাউন্সিল মিলনায়তনে কেক কেটে শেখ রাসেলের জন্মদিন পালন করা হয় এবং একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ আলোচনা সভায় অত্র কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ এবং অফিসার্স কাউন্সিলের সম্পাদকসহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উক্ত আলোচনা সভায় কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ মোহসিন কবীর বলেন, “স্বাধীনতার বিরোধী শক্তি সেদিন বঙ্গবন্ধুর সব স্মৃতি চিহ্ন মুছে দিতে চেয়েছিল বাদ যায় নি তাঁর দশ বছরের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলও। বেঁচে থাকলে আজ হয়তো বঙ্গবন্ধুর আর্দশ বুকে লালন করে হয়ে উঠতেন একজন মহানুভব ব্যক্তিত্ব। ”

তিনি আরও বলেন, “পৃথিবীর আর যেন কোন শিশুকে এমন নিষ্ঠুরতার শিকার হতে না হয় এবং শিশুদের প্রতি এ সহিংসতা রোধে ২০২১ সালে প্রথম বাংলাদেশের ‘ক’ শ্রেণির দিবস হিসেবে শেখ রাসেল দিবস পালন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর দ্বিতীয় বারের মতো এ দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে। এভাবেই ধীরে ধীরে পৃথিবী হয়ে উঠবে শিশুদের জন্যে নিরাপদ। ”

আলোচনা সভা শেষে বাদ জোহর ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণের কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *