মুরাদ শাহ জাবাল, ঝিনাইগাতী (শেরপুর)
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে হাতুড়ে পশু চিকিৎসকের অপচিকিৎসায় দুধালু গাভীর একটি বাছুরের মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে গাভী পালনকারি উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ফাকরাবাদ গ্রামের মৃত মমিন উদ্দিন মুন্সির ছেলে নিজাম উদ্দিন ২৩ জুলাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে প্রকাশ, নিজাম উদ্দিন সম্প্রতি ২লাখ ৩৫ টাকায় ২০ লিটারের দুধালো একটি ফ্রিজিয়াম জাতের বাছুরসহ একটি গাভী ক্রয়করে লালন পালন করে আসছিলো। ইতিমধ্যেই বাছুরটির পেটের সমস্যা দেখা দিলে ১৭ জুলাই নিজাম উদ্দিন উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তার কাছে যান। প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ এটিএম ফয়জুর রাজ্জাক আকন্দ ব্যবস্থাপত্র লেখে দিয়ে সঠিকভাবে প্রয়োগের পরামর্শ দেন। পরে বাজার থেকে ওষুধ কিনে নিয়ে নিজাম উদ্দিন একই গ্রামের পশুচিকিৎসক সিরাজল হকের ছেলে শফিউল্লাহর কাছে গেলে তিনি ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ ব্যবহার না করে মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ বাছুরের শরীরে প্রয়োগ করলে বাছুরটির মৃত্যু হয়। বাছুরটির মূল্য হবে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। নিজাম উদ্দিন জানান ওই গাভীটিই তার পরিবারের সদস্যদের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন বাছুরের মৃত্যুর পর থেকে গাভীটির অবস্থাও মরনাপন্ন হয়ে পরেছে।
এ বিষয়ে জানতে শফিউল্লাহকে ফোন দেয়া হলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন। ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ বিষয়টি তদন্তের জন্য চিকিৎসক শফিউল্লাহকে ডাকা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।