চীনের করোনা পরিস্থিতি বিশ্বের জন্য উদ্বেগের: যুক্তরাষ্ট্র

চীনের করোনা পরিস্থিতি বিশ্বের জন্য উদ্বেগের: যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক স্লাইড

ডিসেম্বর ২১, ২০২২ ১০:২৮ পূর্বাহ্ণ

চীনের কঠোর কোভিড বিধিনিষেধ হঠাৎ তুলে নেয়ার ফলে দেশটিতে করোনা সংক্রমণ ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চীনের করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বিশ্বের জন্য উদ্বেগের বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ‘চীনের জিডিপি ও এর অর্থনীতির যে আকার তাতে ভাইরাসের সংক্রমণ চীনসহ বিশ্বের বাকি দেশগুলোর জন্য উদ্বেগের বিষয়।’

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনা অর্থনীতির আকারের কারণে দেশটিতে বর্তমানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের বিষয় বলে স্থানীয় সময় সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস। একই সঙ্গে চীন কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে বলেও যুক্তরাষ্ট্রের আশার কথা জানিয়েছেন তিনি।

নেড প্রাইস আরও বলেন, ‘কোভিড-এর বিরুদ্ধে চীনের শক্তিশালী অবস্থানে থাকা কেবল দেশটির জন্যই ভালো নয়, এটি বাকি বিশ্বের জন্যও ভালো।’

প্রাইস বলেন, ‘ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে থাকায় এটির রূপান্তর এবং সেটির মাধ্যমে সর্বত্র হুমকি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।’

তার ভাষায়, ‘আমরা বিভিন্নভাবে এই ভাইরাসকে ছড়িয়ে পড়তে দেখেছি এবং এই কারণে আমরা বিশ্বজুড়ে দেশগুলোকে কোভিড মোকাবিলায় সহায়তা করার দিকে এতো মনোযোগ দিচ্ছি।’

প্রাইস জানিয়েছেন, নতুন বছরের শুরুতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বেইজিং-এ পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে, কোভিড-১৯ মহামারীতে ১৯ ডিসেম্বর আরও পাঁচজন মারা গেছে বলে জানিয়েছে চীন, আগেরদিন একই রোগে দুইজন মারা যায়। নতুন এসব মৃত্যু নিয়ে দেশটিতে কোভিড মহামারীতে মৃতের সংখ্যা ৫২৪২ জনে দাঁড়িয়েছে বলে মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানায়। কোভিড বিধিনিষেধ শিথিলের পর চীনে করোনায় এই প্রথম মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল।

সম্প্রতি বিক্ষোভের কারণে চীন সরকার দেশটির কোভিড নীতি শিথিল করেছে। এর ফলে দেশটিতে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। কয়েক সপ্তাহ বিরতি শেষে গত সোমবার এ রোগে দুজনের মৃত্যুর খবরও প্রকাশ পেয়েছিল। ৭ ডিসেম্বর করোনা বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের পর চীনের নিম্ন মৃত্যুহারের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সমালোচকরা।

সরকারি উপাত্তে বলা হচ্ছে, মহামারি শুরুর পর থেকে চীনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ২৩৭ জনের। রয়টার্স বলছে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ১৪০ কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে এ মত্যুহারের উপাত্ত অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

শীত মৌসুমে চীনে করোনার অন্তত ৩টি ঢেউ আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এরই মধ্যে প্রথম ঢেউটি চলছে বলেও দাবি তাদের। এ ছাড়া ২১ জানুয়ারি থেকে সপ্তাহব্যাপী চীনা নববর্ষ উদ্‌যাপনকে কেন্দ্র করে আরেকটি নতুন ঢেউ দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

এরই মধ্যে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন বাড়ি বাড়ি গিয়ে বয়স্কদের টিকা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভ্যাকিসন নেয়ার বিষয়ে অনীহার কথা জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *