গোপনে রাশিয়াকে অস্ত্র দিতে সম্মত হয়েছে চীন

গোপনে রাশিয়াকে অস্ত্র দিতে সম্মত হয়েছে চীন

আন্তর্জাতিক

এপ্রিল ১৬, ২০২৩ ৮:০৪ পূর্বাহ্ণ

ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে প্রাণঘাতী অস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে চীন। তবে একটি শর্তে। বেইজিংয়ের চাওয়া, অস্ত্রের চালানের বিষয়টি মস্কোকে গোপন রাখতে হবে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে ফাঁস হওয়া পেন্টাগনের গোপন নথিতে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর গার্ডিয়ানের।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী চীনের রাশিয়াকে অস্ত্র দেওয়া সংক্রান্ত অতি গোপন ওই মার্কিন গোয়েন্দা নথিটি ২৩ ফেব্রুয়ারির। রাশিয়াকে চীনের অস্ত্র দেওয়া নিয়ে এ তথ্য সংগ্রহ করের মার্কিন গোয়েন্দারা। আড়ি পেতে রুশ গোয়েন্দাদের আলোচনা শোনার মাধ্যমে এসব তথ্য মার্কিন গোয়েন্দাদের হাতে আসে।

রুশ গোয়েন্দারা এ বিষয়ে বলেন, চীনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশন চায় অস্ত্রের চালানের বিষয়টি যেন গোপন থাকে।এছাড়া আরেকটি গোপন গোয়েন্দা নথিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সরবরাহ করা অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডে ইউক্রেনের একটি বড় ধরনের হামলার বিষয়টি নিয়ে ভাবছে বেইজিং। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গোপন যেসব গোয়েন্দা নথি ফাঁস হয়েছে এবং অনলাইন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

এই নথিগুলো তার মধ্যে আছে। এসব গোপন নথি ফাঁসের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই বৃহস্পতিবার ম্যাসাচুসেটস থেকে জ্যাক টাশেরিয়া নামে ২১ বছরের এক তরুণকে গ্রেফতার করেছে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, এসব নথি সত্য এবং এসব নথিতে অতি সংবেদনশীল তথ্য আছে। তবে এর মধ্যে কিছু কিছু নথি বিকৃত করা হয়েছে।

অস্ত্র দিতে রাজি সার্বিয়াও : ফাঁস হওয়া নথি থেকে আরও জানা গেছে, ইউক্রেনকে অস্ত্র দিতে রাজি হয়েছে সার্বিয়াও। খবর রয়টার্সের। ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে পশ্চিমা জোট একে একে রাশিয়ার ওপর নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা চাপালেও এই পথ অনুসরণ করেনি সার্বিয়া।

ইউরোপের একমাত্র দেশ হিসাবে তারাই রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞা দিতে অস্বীকার করেছে। কিন্তু দেশটি কিয়েভকে অস্ত্র সরবরাহ করতে রাজি হয়েছে বা ইতোমধ্যেই পাঠিয়েছে বলে পেন্টাগনের নথি থেকে জানা গেছে। নথিটি সামরিক প্রশিক্ষণ এবং ‘মারাত্মক সাহায্য’ বা অস্ত্রের জন্য ইউক্রেনের অনুরোধে ইউরোপীয় সরকারের প্রতিক্রিয়াগুলোর একটি সারসংক্ষেপ। সম্প্রতি এটি বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

নথিতে দেখা গেছে, বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিতে অস্বীকার করেছে, কিন্তু প্রাণঘাতী সাহায্য পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বা ইতোমধ্যেই সরবরাহ করেছে। এটি আরও বলেছে, সার্বিয়ার রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং ভবিষ্যতে ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করার সামরিক সক্ষমতা রয়েছে। সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকসান্ডার ভুসিকের কার্যালয় এবং ইউক্রেনীয় দূতাবাস তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি। পেন্টাগনও সার্বিয়ার নথির উল্লেখ সম্পর্কে রয়টার্সের প্রশ্নের জবাব দেয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *