কী হয়েছে সাফা কবিরের?

কী হয়েছে সাফা কবিরের?

বিনোদন

অক্টোবর ১১, ২০২৩ ১০:৪৬ পূর্বাহ্ণ

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও মডেল সাফা কবির। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সরব তিনি। ফেসবুকে বিভিন্ন সময় নানা ঘটনা নিয়ে লিখতে দেখা যায় সাফা কবিরকে।

এদিকে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) ছিল বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। এ উপলক্ষে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনেকেই প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছেন। প্রচারণা চালাচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও। আর এ দিবসটিকে ঘিরেই মঙ্গলবার রাতে সাফা কবির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন।

ফেসবুকে একটি কালো ড্রেস পরা নিজের ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। ছবিতে তার মুখমণ্ডল ও শরীরে লেখা রয়েছে- স্যাড, ডিপ্রেসড, এংজাইটি, লোনলি! ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘আজ বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। স্যাডনেস, লোনলিনেস, ডিপ্রেশন, এংজাইটি- শব্দগুলো আমরা সচরাচর অনেকের মুখ থেকেই শুনি কিন্তু এই কথাগুলোকে আমরা কতটা গুরুত্ব দেই? আমি এমন অনেক মানুষকে দেখেছি যারা তাদের মেন্টাল হেলথ নিয়ে কথা বলতে চায় না। এমন অনেক মানুষের কথা শুনেছি যারা বলেছে এটা জ্বর বা কাশির মতো, যেটা মেডিসিন খেলে ঠিক হয়ে যাবে!’

অভিনেত্রী আরো লেখেন, ‘আজ ওয়ার্ল্ড মেন্টাল হেলথ ডে। কিন্তু আমি খুবই শঙ্কিত, কারণ আমি জানি এই পৃথিবীতে কোটি কোটি মানুষ আছে যারা মেন্টাল ডিসঅর্ডার বা মানসিক সমস্যায় জর্জরিত। এটা খুবই দুঃখজনক যে আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই জানে না, ডিপ্রেশন কী, অ্যাংজাইটি কী বা এসব থেকে প্রতিকারের উপায় কী?’

সাফা কবির নিজেও মানসিক অবসাদে ভুগতেন জানিয়ে লেখেন, ‘একটা সময় আমারও অ্যাংজাইটি অ্যাটাক হতো। আমি তখন সচেতন ছিলাম, আমার পাশের মানুষগুলোও তেমনই সচেতন ছিল। আমি ডক্টরের কাছে গিয়েছি। কিন্তু মেডিসিন দিয়ে অল্পসময়ের সাহায্য হলেও সমস্যাটা কিন্তু থেকেই যায়। আমাদের শারীরিক কোনো সমস্যা হলে যেমন চিকিৎসা দরকার তেমনি দরকার মানসিক চিকিৎসারও। আমি মনে করি, নিজের সমস্যাগুলো থেকে বের হওয়ার জন্য নিজেরই সমাধান বের করা উচিত। উচিত আশপাশের মানুষের সাহায্য নেয়ার, প্রফেশনালসদের সাহায্য নেয়ার। মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানুন, নিজে শিখুন, অন্যকে শেখান এবং অবশ্যই তাদের পাশে থাকুন।’

স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য সুস্থ শরীরের পাশাপাশি সুস্থ মনও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তাই মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রতি বছর ১০ অক্টোবর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালন করা হয় বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী সাত লাখ মানুষ আত্মহত্যা করে। আর আত্মহত্যার চেষ্টা করা ব্যক্তির সংখ্যা তার চেয়েও বেশি। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, নারী ও তরুণরা মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মানসিক সমস্যার মূল কারণ দারিদ্র্য, অসমতা, সহিংসতা, বৈষম্য। এসব সমস্যাকে ভয় না পেয়ে বরং মোকাবিলা করতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য নির্দিষ্ট কিছু সময় ব্যায়াম করতে হবে। তবেই মানসিক চাপ থেকে মুক্তি মিলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *