কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিন উপলক্ষে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতি ঢাকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিন উপলক্ষে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতি ঢাকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

শিল্প ও সংস্কৃতি

জুন ১২, ২০২৩ ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ

এ আর রাজ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিন উপলক্ষে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতি ঢাকার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘নজরুল জয়ন্তী ২০২৩’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

১১ জুন, রোববার বিকাল সাড়ে ৪টায় জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ও সমিতির সভাপতি মো: আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সাবেক সচিব ও সমিতির সহ সভাপতি ড. মো: ইব্রাহীম হোসেন খান।

কে এম খালিদ বলেন, কবি নজরুল যদি জাতীয় কবি না হতেন তাহলে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে যেত। কবি নজরুলের রণসংগীত আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে। তার রণসংগীত মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা। তিনি আমাদের মাটির সাথে মিশে আছেন।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, একজন কবি হিসেবে কাজী নজরুল ইসলাম এটি অনুধাবন করেছিলেন যে, মানুষের অর্ধেক জনসমষ্টিকে বাইরে রেখে কখনো উন্নতি সাধন সম্ভব নয়। সাহিত্যের মাধ্যমে, সংগীতের মাধ্যমে, সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে নারীকে প্রাধান্য দিয়ে নারীকে মূলধারায় আনার যে চেষ্টা তিনি করেছিলেন সেটা নতুন আলোর একটা নির্দেশনা ছিল। নজরুল তার সৃষ্টিতে এটি করে নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন। তিনি নারীকে সামনে আনার জন্য মনেপ্রাণে চেষ্টা করেছেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সিনিয়র সচিব (অব.), এসডিএফ এর চেয়ারম্যান ও সমিতির সহ সভাপতি আব্দুস সামাদ ফারুক। তিনি বলেন, নজরুলের গান ও কবিতা ছিল মুক্তিকামী বাঙালির অফুরন্ত প্রেরণার উৎস। মহান মুক্তিযুদ্ধে তার গান ও কবিতা বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ আপামর বাঙালিকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে, উদ্বুদ্ধ করেছে। নজরুলের কালজয়ী গান ও কবিতা আমাদের জাতীয় সত্তার সঙ্গে মিশে আছে বলেই তিনি বাঙালির জাতীয় কবির মর্যাদায় অভিষিক্ত। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে কবি নজরুলের সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত নিবিড়। বঙ্গবন্ধু হলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহানায়ক আর নজরুল বাংলা সাহিত্যের।

এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সমিতির সহ সভাপতি মাহফুজুর রহমান বাবুল, সাবেক সচিব হুমায়ুন খালিদ, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও সমিতির যুগ্ম মহাপরিচালক পীরজাদা হারুন, শেরপুর জেলা সমিতির মহাসচিব ইঞ্জি. আব্দুর রাজ্জাক, সমিতির যুগ্ম মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জি. ইশরাপ, সমিতির ভূমি ও গৃহায়ণ সচিব সাইফুদ্দিন করিম আহমেদ মুন্না, সাংগঠনিক সচিব এ কে এম রফিকুল ইসলাম, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় এর সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি ও সমিতির সাংগঠনিক সচিব মো: আব্দুল্লাহ হারুন, সমিতির শিক্ষা সচিব ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. রাশেদুল হাসান শেলী, রিসডা বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান ও সমিতির নির্বাহী সদস্য নুরুজ্জামান মুন্না, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপ—কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক যথাক্রমে জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য সচিব ফেরদৌস সালাম, বদিউজ্জামান রিপন তালুকদার, মহসিনুজ্জামান চৌধুরী বাবুল, মাসুম রেজা রহিম, অধ্যাপক রায়হানা তাসলীম, মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসাইন, মো: আজিজুল হক প্রমুখ।

নুরুল হাসনাত জিলানী ও তামান্না তিথির সঞ্চালনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে বাংলাদেশ একাডেমি অফ ফাইন আর্টস ও নৃত্যালোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শিল্পীবৃন্দ। এছাড়া একক সংগীত পরিবেশন করেন স্বরলিপি ও ইয়াকুব আলী খান। কবিতা আবৃত্তি করেন সমিতির নির্বাহী সদস্য ক্যাপ্টেন শহীদুল ইসলাম, বিএন (অব.) এবং টিটো মুন্সী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *