এক ওভারে ৬ উইকেটের পতনে বিশ্ব ক্রিকেটে তোলপাড় (ভিডিও)

খেলা স্পেশাল

এপ্রিল ১৩, ২০২২ ৯:৩৬ পূর্বাহ্ণ

ক্রিকেট বিশ্বে এক ওভারে ৬ বলের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট পড়ার রেকর্ড রয়েছে। অন্তত ৬ বলে ৬ উইকেট পড়ার রেকর্ড ছিল না এতদিন। কিন্তু সেই রেকর্ডটি হয়ে গেল এবার।

১১ এপ্রিল সোমবার নেপালের ক্লাব ক্রিকেট নেপাল প্রো ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপে ঘটে এ ঐতিহাসিক ঘটনা। ৬ বলে ৬টি উইকেট পড়ার ঘটনায় ক্রিকেট বিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ইএসপিএন ক্রিকইনফোও।

টুর্নামেন্টটি ছিল টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের। ম্যাচের মধ্যে একটি রান আউট বাদ দিয়ে ৫ বলে পাঁচটি উইকেট নেন বোলার। টুর্নামেন্টের গ্রুপ ‘এ’ এনকাউন্টারে পুশ স্পোর্টস দিল্লির বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল মালয়েশিয়া ক্লাব একাদশ।

দিল্লির বিরুদ্ধে ম্যাচে ডিসমিসালের এ রেকর্ড গড়লেন মালয়েশিয়া দলের তারকা বোলার বিরানদিপ সিং। প্রথমে ব্যাট করতে নামা দিল্লির ক্লাবটির ২০তম ওভারে এ কীর্তি গড়েন বিরানদিপ।

বিরানদিপ সিং যখন ২০তম ওভার বল করতে আসেন, তখন দিল্লির রান ছিল ৩ উইকেটে ১৩০। আর যখন ওভার শেষ করেন দিল্লি স্কোরবোর্ডে তখন ছিল ৯ উইকেটে ১৩২ রান।

ম্যাচের প্রথম বলটি ওয়াইড করেন বিরানদিপ সিং। এরপরে তার বলে এক্সট্রা কভারে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এম পাঠাক। পরের বলে ব্যাটার দু’রান নিতে গিয়ে রান আউট হন। তৃতীয় বল ব্যাটরের লেগ স্ট্যাম্প উড়িয়ে দেন বিরানদিপ। তিন বলে তখন তিন উইকেট পড়েছিল। চতুর্থ বলে প্রতিপক্ষ ব্যাটারকে বোল্ড করলেন তিনি। পঞ্চম বলে জে সিঙ্ঘালকে নিজের হাতেই রিটার্ন ক্যাচ নেন। এর ফলে নিজের হ্যাটট্রিকও পূর্ণ করে ফেলেন বিরানদিপ। পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদির মতো তাকে সেলিব্রেশন করতেও দেখা যায়।

ইনিংসের শেষ বলে ৯ম ব্যাটারকে আউট করে নিজের ডাবল হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন বীরানদিপ। এরই সঙ্গে বাইশ গজে ইতিহাস তৈরি করে ফেলেন। ৬ বলে তুলে নেন ৬টি উইকেট। পাঁচটি থাকলো তার নিজের দখলে। একটি হলো রানআউট।

১৫ বল বাকি থাকতে ম্যাচটি ৭ উইকেটের ব্যবধানে জিতে যায় মালয়েশিয়া ক্লাব একাদশ। দিল্লির স্কোর ছিল ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩২। জবাবে ১৭.৩ ওভারে মালয়েশিয়া ক্লাব একাদশ ৩ উইকেট হারিয়ে করে ১৩৫ রান। নিঃসন্দেহে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন বিরানদিপ। বল হাতে ২ ওভারে ৯ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর তিনি ব্যাট হাতেও ১৯ বলে ৩৩ রান করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *