নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে ইরানের বিশ্ববিদ্যালয় আল-মুস্তাফা ইন্টারন্যাশনাল। বিষয়টির প্রতিবাদ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অবৈধ লোকজন ড. মোহম্মদ সামিউল হক সরকারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
ড. সামিউল হক বলেন, ইরানের শিক্ষা নগরী কোম এ অবস্থিত ‘আল-মুস্তাফা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’। সেখানে থেকে সর্বপ্রথম (২০১৮ সালে) বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে আমি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছি। এবং আমি ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি দেশের নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি ছিলাম। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্র ধানমন্ডির ৪ নম্বর সড়কে একেবারেই পুলিশ তদন্ত সব কেন্দ্রের (পিবিআই) চোখের সামনে অবস্থিত একটি ভবনেই (২০১৯ সালে) তৎকালীন ঐ অবৈধ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস অবস্থিত ছিলো। আমি সেখানে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করি। কিন্তু কিছুদিন পর আমি বুঝতে পারলাম যে, সেটি একটি অবৈধ বিশ্ববিদ্যালয়।
সামিউল হক জানান, বিশ্ববিদ্যালয় অবৈধ কার্যক্রমের প্রতিবাদ করায় তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় আমি বাধ্য হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছেন তিনি।
খুব শীঘ্রই উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করতে যাচ্ছেন ড. সামিউল হক। রিটের বিষয় হচ্ছে: বিগত ১৪ বছর ধরে যারা ঐ বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সম্পূর্ণ অবৈধ করে রেখে অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে তাদের বিচার করা, ইরানী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কনস্যুলারের চুরি, আর দূর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে অবৈধ বিশ্ববিদ্যালয় আল-মুস্তাফা ইন্টারন্যাশনাল পরিচালনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা। সবচেয়ে বড়ো কথা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের আড়ালে হোক, সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নামের আড়ালে হোক অথবা দূতাবাসের নামের আড়ালেই হোক – তাদের সবকিছুই বাংলাদেশ সরকারের নজরদারিতে হতে হবে – সেজন্য আমি রিট আবেদন করতে যাচ্ছি।