শিমুলিয়ায় চলছে ৯ ফেরি, ৮৫ লঞ্চ ও ১৫৫ স্পিডবোট

দেশজুড়ে স্লাইড

এপ্রিল ২৯, ২০২২ ১:১৮ অপরাহ্ণ

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া- মাদারীপুরের বাংলাবাজার- শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি নৌপথে ৮৫টি লঞ্চ ও ১৫৫টি স্পিডবোট চলাচল করছে। দুটি নৌরুটে ছোট-মাঝারি আকারের ৯টি ফেরি চলাচল করছে। বহরে যুক্ত হচ্ছে রো-রো ফেরি এনায়েতপুরী।

এ নৌপথে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলাচলরত স্পিডবোটে ১৫০ ও লঞ্চে ৪৫ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।

২৪ ঘণ্টা ফেরি চালু হওয়ায় ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া, মাদারীপুরের বাংলাবাজার এবং শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি নৌপথে যাত্রী ও যানবাহনের চাপের তুলনায় যানবাহন পারাপারে গতি বেড়েছে। দিনে ৯টি এবং রাতে চলাচল করছে ৬টি ফেরি।

ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি কমাতে শরীয়তপুরের জাজিরায় মাঝিকান্দি (সাত্তার মাদবর) ঘাটে নতুন একটি ফেরিঘাট চালু করা হয়েছে। বুধবার থেকে নতুন ঘাটটিতে যানবাহন নিয়ে ফেরি চলাচল করছে।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার-মাঝিকান্দি নৌরুটে ফেরি কুঞ্জলতা, ক্যামেলিয়া, বেগম সুফিয়া কামাল, বেগম রোকেয়া ও ফেরি কুমিল্লা ২৪ ঘণ্টাই চলছে। ফেরি কর্ণফুলী, রায়পুরা ও রাণীগঞ্জ শুধু দিনে চলাচল করছে।

বৃহস্পতিবার শিমুলিয়া ঘাটে সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘাটের পার্কিং ইয়ার্ডে শতাধিক ব্যক্তিগত গাড়ির সারি। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় সংখ্যা অনেক কম। আগের নির্দেশনা অনুযায়ী ফেরি দিয়ে এসব ব্যক্তিগত ও হালকা যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটে বুধবারের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি যাত্রী দেখা গেছে।

শিমুলিয়া নদী বন্দর কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন জানান, গত চারদিন ধরে ঘাটে যাত্রীর চাপ বাড়ছে। ২-১ দিনের মধ্যে এ চাপ আরো কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। তবে নিরাপদে যাত্রী পারাপারের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। ৮৭টি লঞ্চের মধ্যে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ৬৫টি ও শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি পথে ২০টি লঞ্চ চলাচল করছে। লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচলের সময় ও ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কেউ অতিরিক্ত ভাড়া এবং ঝুঁকি নিয়ে নির্ধারিত সময়ের বাইরে লঞ্চ স্পিডবোট চালানোর চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইলিয়াস শিকদার বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীদের নিরাপদে নদী পারাপার নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ট্রাফিক পুলিশ, নৌ পুলিশ, লৌহজং থানা পুলিশ, জেলা পুলিশ, কোস্ট গার্ড, সিভিল ডিফেন্স ও আনসার সদস্যরা নিয়োজিত থাকছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *