ইঁদুর ঠেকাতে কুকুর-বিড়াল নিয়োগ

ইঁদুর ঠেকাতে কুকুর-বিড়াল নিয়োগ

মজার খবর স্পেশাল

জুন ২০, ২০২৩ ৯:৪২ পূর্বাহ্ণ

হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা নন। ইঁদুর উপদ্রব থেকে বাঁচতে কুকুর-বিড়াল নিয়োগ করছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনের অ্যাডামস মর্গ্যান শহর। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউজের এ প্রতিবেশী তল্লাটের অলিগলি, আনাচে-কানাচে এখন ইঁদুরের উৎপাত। নাইট ক্লাব আর রেস্তোরাঁর উচ্ছিষ্টের লোভে একেবারে রাস্তায় উঠে আসছে ইঁদুরের পাল। ঢুকে পড়ছে ঘরের ভেতর। কামড়াচ্ছেও বাসিন্দাদের। ডাস্টবিন আর নর্দমা থেকে টেনে বের করছে নোংরা। ‘রাজভোগ’ বিলাসী এসব ইদুরগুলোর কীর্তিকলাপে দুর্গন্ধে প্রাণ ওষ্ঠাগত স্থানীয়দের। এর থেকে বাঁচতে দিনে প্রায় ১৩-১৪ হাজার ফোন পাচ্ছেন সিটি হটলাইনের কর্মীরা।

সোমবার এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , ইঁদুরের দৌরাত্ম্য থেকে বাঁচতে শেষ পর্যন্ত অন্য পথ বেছে নিয়েছে ওয়াশিংটন প্রশাসন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর এবং বিড়ালদের পথে নামানো হয়েছে। আর কাজে যোগ দিয়েই ইঁদুর-নিধন যজ্ঞে নেমে পড়েছে তারা। এই অভিযানকে বলা হচ্ছে ‘র‌্যাটিং’। বোমানি নামে র‌্যাটিং বাহিনীর এক সদস্য জানিয়েছেন, ইঁদুরগুলো এতটাই বেপরোয়া যে হিংস্র কুকুর দেখেও তারা পালিয়ে যাওয়ার কোনো চেষ্টাই করছে না। এভাবেই নাকি খুব দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসছে ইঁদুরের উৎপাত। একটি র‌্যাটার কুকুর নাকি ৩ ঘণ্টার মধ্যেই অন্তত ৩০টি ইঁদুরকে হত্যা করেছে। বসে নেই বেড়ালরাও। সব মিলিয়ে শহরে নাকি রাতারাতি ইঁদুরের দৌরাত্ম্য অনেকখানি কমে গেছে।

এক ইঁদুর-বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, এককালে পেস্ট কন্ট্রোলের কাজেও ব্যবহার করা হতো শিকারি কুকুর-বিড়ালদের। ইঁদুর মারার ক্ষেত্রে বিষ প্রয়োগের থেকেও এই পদ্ধতি বেশি কার্যকর। বিষ প্রয়োগের ফলে ইঁদুরের মৃত্যু হলে সেই মৃতদেহ যখন অন্য প্রাণী খায়, তখন তাদের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। আবার ফাঁদ পাতলে ইঁদুর ধরা পড়তে দিনের পর দিন কেটে যায়। তাই ইঁদুরের দৌরাত্ম্য সামাল দিতে র‌্যাটার বাহিনীর সাহায্য নেওয়াই বেশি উপযুক্ত। যুক্তরাষ্ট্রে দিন দিন ইঁদুরের সংখ্যা বাড়ছে। বিশ্ব মোড়ল এই রাষ্ট্রটির বেশ কয়েকটি শহরই এমন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে ইঁদুরের অত্যাচারে। তারমধ্যে অন্যতম হলে ডিস্ট্রিক্ট অফ কলম্বিয়া। ক্রমাগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে র‌্যাটিস্ট শহরের শীর্ষ পাঁচটি তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *