গত কয়েকবছর ধরে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। সম্প্রতি ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই বেশ উন্নতি করেছে টাইগাররা। এর কৃতিত্ব ক্রিকেটার ও কোচের কোর্টে গেলেও আরেকজনের নাম বলতেই হবে। তিনি হলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
বিসিবির দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই নানাভাবে উন্নয়নের প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন পাপন। অবশ্য সমালোচিত হলেও তার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছেন তিনি। যার সুফল পাচ্ছে বর্তমান সময়ের ক্রিকেট। তবে এবার ক্রিকেটের সঙ্গে মধুর সম্পর্কের ইতি টানতে যাচ্ছেন বিসিবি বস।
বিসিবি ছাড়াও আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন পাপন। তবে কিছুদিন আগে তিনি জানিয়েছিলেন, ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত থাকায় তার সব সময়ই চলে যাচ্ছে। ফলে পরিবারকেও যথেষ্ট সময় দিতে পারছেন না তিনি।
শনিবার (১৭ জুন) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পাপন বলেন, ‘আমি ফার্মাসিউটিকালের সঙ্গে জড়িত। এর বাইরে রাজনীতি আছে, যেটা আমার পারিবারিক ঐতিহ্য। আমার বাবা করতেন, আপনারা সবাই জানেন। আমিও করছি এবং করবো। এর বাইরেও আরো অন্তত ২০টা জায়গা আছে যেখানে আমাকে সময় দিতে হয়।’
আবারো আগের কথার পুনরাবৃত্তি করে তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট আমার সবটুকু সময় নিয়ে নিচ্ছে। আজকেও আমার খুব জরুরি একটা মিটিং ছিল। কত জরুরি, সেটা বলে বোঝাতে পারব না। কিন্তু আমি জানিয়েছি খেলার মধ্যে আমি কোনোভাবেই মিটিংয়ে থাকতে পারব না। খেলা বাদ দিয়ে আমার পক্ষে মিটিংয়ে থাকা সম্ভব না।’
এ সময় বিসিবির দায়িত্ব ছাড়ার আভাসো রাখলেন পাপন, ‘ক্রিকেট আমার সবসময় নিয়ে নিচ্ছে। আমি মনে করি এখন আমার সরে যাওয়ার সময় হয়েছে এখান থেকে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এখান থেকে আমার যাওয়া দরকার। অন্য যেসব জায়গায় সময় দিতে পারছি না, সেটাও আমার দায়িত্ব। ক্রিকেটকে তো সময় দিলামই।’