আত্মজীবনীতে বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি ওয়াসিম আকরামের

আত্মজীবনীতে বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি ওয়াসিম আকরামের

খেলা

অক্টোবর ৩১, ২০২২ ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ

আত্মজীবনীমূলক বই লিখে তোলপাড় সৃষ্টি করেছিলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি।

যেখানে মাঠে ও মাঠের বাইরের অনেক অজানা তথ্য সামনে আনেন বুম বুম আফ্রিদি।  ব্যক্তিগত প্রেম ও পিচ টেম্পারিংয়ের স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন।

এবার আত্মজীবনী নিয়ে হাজির হয়েছেন আফ্রিদির ‘গুরু’ সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম। এতে বিস্ফোরক এক  স্বীকারোক্তি দিয়েছেন এ কিংবদন্তি পেসার।  তার সেই স্বীকারোক্তিতে বিস্মিত ক্রিকেটবিশ্ব।

ওয়াসিম আকরাম লিখেছেন— একটা সময় অন্ধকার জীবনে নিজেই ডুবে গিয়েছিলেন তিনি। খেলা ছাড়ার পর কোকেনে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন।

ফেলে আসা সেই দুঃসহ দিনগুলোর কথা আত্মজীবনীতে লিখেছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার।

একসময় পাকিস্তান দলে ওয়াসিম আকরাম মানেই বিপক্ষ দলের ব্যাটারদের দুশ্চিন্তার পাহাড়। মাঠে নামলেই গতি আর সুইংয়ে প্রতিপক্ষের সব কিছু এলোমেলো করে দিতেন তিনি।  তাকে বলা হয়— ইয়র্কার আর ভেরিয়েশনের রাজা।

ক্রিকেটবোদ্ধাদের ভাষ্য— ৬ বল ছয় রকম করে ডেলিভারি দিতে পারতেন এ বাঁহাতি পেসার।

আর সেই ওয়াসিমই কিনা ডুবলেন নিষিদ্ধ মাদক সেবনে! অবশ্য সেটি অবসরের পর।

২০০৩ সালে ১৮ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টানেন ওয়াসিম আকরাম। এর পরই কোকেন নেওয়া শুরু করেন তিনি।

আত্মজীবনীতে এ সাবেক তারকা পেসার লিখেছেন, ‘আমি যা ইচ্ছা তাই করতে চাইতাম, পার্টি করতে পছন্দ করতাম। দক্ষিণ এশিয়ায় খ্যাতির ধরনটা সর্বগ্রাসী, প্রলুব্ধ করে এবং মনকে বিপথে ঠেলে দেয়। এখানে এক রাতে ১০টি পার্টিতে যাওয়া সম্ভব এবং কেউ কেউ যায়ও। এটি আমার ওপর প্রভাব ফেলেছিল। সবচেয়ে খারাপ দিক হলো— আমি কোকেনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিলাম।  ইংল্যান্ডে একটা পার্টিতে প্রথম কোকেন গ্রহণ করেছিলাম। ধীরে ধীরে অভ্যাস বেড়ে যেতে থাকে। একটা সময় মনে হতো, শারীরিক ক্রিয়াকলাপের জন্য কোকেন নিতেই হবে!’

একদিন ওয়াসিমের প্রথম স্ত্রী হুমা হাতেনাতে ধরে ফেলেন তাকে। পরে সহধর্মিণীর সহায়তায় এই ভয়ঙ্কর নেশা থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন ওয়াসিম।

নেশার জগৎ থেকে বেরিয়ে আসা নিয়ে ওয়াসিম বলেন, ‘আমার কোকেন গ্রহণের পরিমাণ দিন দিন বেড়েই যাচ্ছিল। রাতে ঘুমাতে পারতাম না। ডায়াবেটিস বেড়ে যাচ্ছিল। নেশায় ডুবে সেটি তো খেয়ালই ছিল না। যে কারণে মাথাব্যথা বাড়তে থাকে। আমার আচরণগত পরিবর্তন হতে থাকে।  হুমা একদিন আমাকে ধরে ফেলে।  আমার ওয়ালেটে কোকেনের প্যাকেট দেখে বলে, ‘তোমার সাহায্য দরকার।  আমি রাজি হয়ে যাই। ’ আমার প্রতি হুমার শেষ যত্ন ছিল মাদক থেকে আমাকে বের করে আনা। আমি সেটি পেরেছিলাম। তার পর থেকে কোকেন আর ছুঁয়েও দেখিনি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *