বিশ্বকাপ আসতে আসতে আরও বুড়িয়ে যাবে মেসি। তাকে হয়তো বিশ্বকাপে দেখা যাবে বদলি খেলোয়াড়ের ভূমিকায়। পিএসজিতে লিওনেল মেসির পারফরম্যান্স দেখেই তিনি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছেন ১৯৮২ সালে পোল্যান্ডের কোচের দায়িত্ব পালন করা পিখনিচেক।
বিশ্বকাপের ড্র হয়ে গেছে এপ্রিল মাসের প্রথম দিনেই। দলগুলো জেনে গেছে তাদের প্রতিপক্ষে থাকছে কারা। তাই এখন থেকেই প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার পরিকল্পনা আঁটছে দলের কোচেরা। এমন সময়ে এই মন্তব্য তেমন কোনো পরিকল্পনার অংশও হতে পারে। পোল্যান্ড হয়তো কথার লড়াইয়ে ঘায়েল করতে চায় বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবল শক্তি আর্জেন্টিনাকে। আর তাই একদম দলের প্রধান অস্ত্র ও অধিনায়ককেই তাদের সাবেক কোচ পাথিয়ে দিচ্ছেন সাইডবেঞ্চে।
পিখনিচেক তার দেশ পোল্যান্ডের খেলোয়াড়দের বলেছেন মেসিকে একদম ভয় না পেতে। মেসিকে নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছুই নেই। গতি হারিয়ে ফেলা মেসিকে নিয়ন্ত্রণ করা খুব একটা কঠিন হবে না বলে মনে করেন পিখনিচেক।
সাবেক পোল্যান্ড কোচ বলেন, ‘সত্যি বলতে, মেসি এখন বনের বুড়ো বাঘ। কয়েক বছর আগে সে যেমন দুর্দান্ত খেলোয়াড় ছিল, এখন মোটেই আর তা নেই। বিশ্বকাপে সে কী ভূমিকায় খেলবে, সেটাই দেখার বিষয়।’
ক্লাব পিএসজিতে যাওয়ার পর থেকেই ক্লাব ফুটবলে গোলখরায় ভুগছেন মেসি। অবশ্য জাতীয় দলে এই সময়েই মেসি ছুঁয়ে দেখেছেন পরম আরাধ্য আন্তর্জাতিক শিরোপা। কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনাকে শিরোপা এনে দেওয়ার পথে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন মেসি। দল আর্জেন্টিনাও দুর্দান্ত ফর্মে। টানা ৩১ ম্যাচ ধরে অপরাজিত আর্জেন্টিনার এবার বিশ্বকাপে ভালো সম্ভাবনা দেখছেন অনেকেই।
তবে পিখনিচেক মনে করেন বিশ্বকাপে স্কলানি হয়তো মেসিকে সাইডবেঞ্চে রেখে শুরু করবেন। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের শেষে গ্রুপ নির্ধারণী ড্র অনুষ্ঠানের পর পোলিশ ওয়েবসাইট নতেমাটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের এমন ভাবনা তুলে ধরেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘তার ফর্মের যা অবস্থা, তাতে তাকে বেঞ্চে রাখা হতে পারে। সুইডেন দলে জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ যে ভূমিকা রাখছে, মেসির ভূমিকাও তেমনটিই হতে পারে। সে শেষ ১৫-২০ মিনিট খেলবে, হয়তো বদলি হিসেবে।’
তবে এই সাবেক কোচ মেসির জ্বলে না ওঠার সম্ভাবনা নিয়ে একদম নিঃসন্দেহও নন। কাতারে মেসি জ্বলে উঠে ভালো কিছু করতে পারেন, সে সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি পিখনিচেক।
‘বিশ্বকাপটা তার দুর্দান্তও কাটতে পারে। এই বিষয়টাকে আমি উড়িয়ে দিতে পারছি না। তবে পিএসজিতে সে যেভাবে খেলেছে, তাতে বলা যায় সে ঠিক আগের মত নেই।’